ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখের বাতাস ও বাজার

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১১ এপ্রিল ২০১৮

বৈশাখের বাতাস ও বাজার

দেশের প্রধান বইয়ের বাজার বাংলাবাজারে বাংলা বছরের শেষার্ধে কেবলই বই ও জোবেদা খাতা বাঁধাইয়ের মুহুর্মুহু আওয়াজ, কান পাতা দায়। বই মানে কোন গল্প-উপন্যাস কিংবা পাঠ্যবই নয়। পুরনো বছরের শেষ ও নতুন বছরের প্রথমার্ধে বই মানে পঞ্জিকা, বাংলা পঞ্জিকা। মূলত বাংলা পঞ্জিকা হলেও এর দিনলিপিতে বাংলা, শকাব্দ, ইংরেজী, সংবৎ, হিজরী, ফসলী ও আমলী, ত্রিপুরাব্দ, শ্রী চৈতন্যাব্দ, কামরূপীয়া, শ্রী শঙ্করাব্দ, বুদ্বাব্দ, ভারতীয় শকাব্দ সনের সবই মেলে, একেবারে দিনক্ষণ, দিবারাত্রি, ঘণ্টা, সেকেন্ড, পল, অনুপলসহ। পঞ্জিকায় বিশ্বের বিখ্যাত কয়েকটি দেশ ও বারোটি রাশির ব্যক্তিগত রাশিফলও মেলে। এমনকি আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে বৃষ্টিগণনা, খরা ও বন্যা, সর্বোপরি ফসলাদির পূর্বাভাসও পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি প্রতিদিনের শুভাশুভ নির্ণয় থেকে শুরু করে দেশ ও মানুষের ভাগ্যাভাস, শুভলগ্ন, অশুভলগ্ন, বিবাহ, অন্নপ্রাশন থেকে শুরু করে অসুস্থতা ও মৃত্যুযোগ সম্পর্কে পর্যন্ত পাওয়া যায় মোটামুটি ধারণা। যে বা যারা নিয়মিত পঞ্জিকাচর্চা করে থাকেন, তারা যে সবাই কট্টর ও বিশ্বাসী, তা নয়। বিভিন্ন ধর্মের অনুষ্ঠানাদির খবরাখবর, আচার-আচরণ সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পাওয়া যায় পঞ্জিকায়। নিছক এসব খবর এবং দিন-তারিখের তথ্য সংগ্রহের জন্যও অনেকেই কৌতূহলবশত আশ্রয় নিয়ে থাকেন পঞ্জিকার। সত্যি বলতি কি, সারা বছরের দিনক্ষণ, অনুষ্ঠানাদি সামান্য একটি বই যে ধারণ করে, তার গুরুত্ব বিশ্বাসের বাইরে অবিশ্বাসের দৃষ্টিকোণ থেকেও কোন অংশে কম নয়। আবার পঞ্জিকা যে খুব একটি সহজ সরল ও সুখপাঠ্য, তাও কিন্তু নয়। বরং রীতিমতো জটিল এবং অনেক ক্ষেত্রে অধীত বিদ্যা ও মনোনিবেশ দাবি করে থাকে। পঞ্জিকায় সংস্কৃত, তৎসম, আরবী, ফার্সি শব্দের আধিক্যই এর একমাত্র কারণ নয়। বরং পঞ্জিকার ভাষাই কিছুটা জটিল ও ধোঁয়াশাপূর্ণ। অনেকটা সান্ধ্যভাষার মতো। তাই বলে পঞ্জিকা পাঠ ও চর্চা কিন্তু থেমে নেই। আর তাই বছর শেষে ও শুরুতে পঞ্জিকা বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। বাজারে হরেক রকম পঞ্জিকা, হরেক রকম প্রকাশনা সংস্থার। এমনকি মুসলিম পঞ্জিকা পর্যন্তÑ তাতেও সব ধর্ম ও অনুষ্ঠানের খবরাখবর মেলে। মানুষও কেনে বৈকি। তা না হলে পঞ্জিকার বাজার এত রমরমা হবে কেন? অনেক কৌতূহলী পাঠক এমনকি বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার একাধিক পঞ্জিকা কিনে থাকে। এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে, আর তা হলো, পঞ্জিকা হাফ, ফুল ও পকেট সাইজেও পাওয়া যায়। বাজার সরগরম ও তুমুল বেচা-বিক্রি না হলে তো আর এতরকম পঞ্জিকা প্রকাশিত ও বিক্রি হতো না। মনে রাখতে হবে যে, বাংলা নববর্ষ ঘিরে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় যে বিপুল অর্থনৈতিক কর্মকা- আবর্তিত হয়ে থাকে, সেটি দুটো ঈদ ও পুজার চেয়ে কোন অংশে কম নয় এবং এর মধ্যে পঞ্জিকাও একটি। আরও একটি জিনিস খুব চলে এ সময়ে। আর তা হলো ঐতিহ্যসম্মত হালখাতায় ব্যবহৃত জোবেদা খাতা বা জাবদা খাতা, কেউবা বলেন খেরো খাতা। কেন যে এসব খাতা বাঁধাইয়ে লালসালু রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়ে থাকে আর কেনই বা এর সাইজটা অমন বেঢপ তথা উলম্ব, সেটিও একটি রহস্য বটে। আরও একটি বিষয় লক্ষণীয় বৈকি। যে বা যারা জোবেদা খাতার হস্তলিপি দেখেছেন, তারাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, এসব খাতায় লেখার স্টাইলটাও আলাদা ও ব্যতিক্রমী। অনেকটা প্রায় হস্তলিখিত পুঁথির মতো। অধুনা ব্যতিক্রমী হস্তলিপি থাকলেও থাকতে পারে। তবে কেন যেন মনে হয় যে, হিসাব লেখার জন্য টানা মাত্রা সহযোগে লেখাটাই জোবেদা খাতায় হিসাব লেখার বৈশিষ্ট্য, যা বলা যায় ঐতিহ্যসম্মত। শুনেছি, বঙ্কিমচন্দ্র, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ ওই রকম উলম্ব খাতায় লেখালেখি করতেন। হতে পারে যে, তাতে হস্তলিখিত পা-ুলিপি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত কম। প্রসঙ্গত বলি আমাদের এক অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে অকালপ্রয়াত বিপ্লব দাশ জোবেদা বা জাবদা খাতায় লিখতে অভ্যস্ত ছিলেন এবং ওর হাতের লেখাও ছিল খুবই সুন্দর, টানা টানা, দৃষ্টিনন্দন। তো বাংলাবাজার বর্তমানে পঞ্জিকা ও লালসালুতে বাঁধাইকৃত জোবেদা খাতা বাঁধাই ও বিক্রিতে সরগরম, যা ছড়িয়ে পড়ছে ও পড়বে অচিরেই সারাদেশে। এসবের দামও হরেকরকম, কমিশনও বেশি। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী নির্বিশেষে নতুন বছরে কৌতূহলী অনেক পাঠকের নতুন একটি বা একাধিক পঞ্জিকা চাই-ই চাই। এবারে একটি পঞ্জিকার শুরুতেই দেখতে পাচ্ছি যে, প্রারম্ভেই লেখা আছে, ‘অপরাপর প্রচলিত পঞ্জিকার ভ্রমসঙ্কুল রীতি অনুসারে বর্তমান বর্ষে গুরু (বৃহস্পতি) রাজা, রবি-মন্ত্রী, বুধ- জলাধিপতি ও শনি-শস্যাধিপতি হইয়াছে।’ এই বছরের আয়োজনেÑ অন্নপূর্ণা, ভা-ারে-দুর্গাদেবী, রন্ধনে-লক্ষ্মীদেবী, পরিবেশনে-গঙ্গাদেবী। এ পর্যন্ত প্রায় সবই বুঝলাম, সার্বিকভাবে শুভ। যাকে বলে ধনধান্যে পুষ্পভরা। তবে ‘ভ্রমসঙ্কুল’ ব্যাপারটি ঠিক বোধগম্য হলো না। তার মানে কি গণকম-লী ও পাঁজিকাররা সর্ববিষয়ে সহমত, একমত, নির্ভুল ও নিশ্চিত নন! প্রশ্নটি বরং পাঠক, যে যার মতো বিবেচনা করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। এমনকি আদৌ কোন সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারেন। ১৪২৫ সালের বৃষ্টিগণনা অধ্যায়ে বৈশাখ মাসের উল্লেখে দেখতে পাচ্ছি, গ্রীষ্ম ঋতুর প্রথম মাস বৈশাখের গ্রহাবস্থান অপরদিকে ২রা বৈশাখে অমাবস্যা যুক্ত হওয়ায় গ্রীষ্মের দাবদাহ বৃদ্ধি পাবে, বৃষ্টিপাতের দেখা পাওয়া দুষ্কর হবে। এই বৈশাখে বুধের রেবতিনক্ষত্রে প্রবেশ ও রাহুর দৃষ্টিপাতের ফলে নি¤œচাপজনিত কারণে দু-এক পশলা বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা। পাঠক, এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল এ্যারোনটিকস এ্যান্ড স্পেস রিসার্চ এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এবং ন্যাশনাল ওসেনিক এ্যান্ড এ্যাটমসফরিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নোয়া) ক্লাইমেট ডাটা সেন্টার কি বলছে শুনুন। তিনটি সংস্থা একযোগে বলছে, এ বছর হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ উষ্ণায়নের বছর। ফলে তীব্র দাবদাহ ও উষ্ণতা দেখা দেবেÑ কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। দেখা দেবে খরা এবং সুপেয় পানির অভাব। সর্বোপরি দক্ষিণ এশিয়ায় এর উপদ্রব হবে বেশি। যার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা অন্যতম। পাঠক, মনে রাখবেন এও কিন্তু পূর্বাভাস! বিচক্ষণ পাঠকের বিলক্ষণ মনে আছে যে, আমাদের গত বছর শুরু হয়েছিল অসময়ে বৃষ্টি, অতি বৃষ্টি, হাওড় অঞ্চলে পাহাড়ী ঢল ও অকালবন্যায়। সর্বোপরি উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা বাঁধভাঙ্গা বন্যার পানির তীব্র উৎপাত-উপদ্রবে। সে সময়ে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসলহানি বিশেষ করে ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওড় অঞ্চল। দেশে আদৌ কোন দুর্ভিক্ষ তথা হাহাকার দেখা না গেলেও চালের দাম গিয়েছিল হু হু করে বেড়ে। মানুষ পানিতে ভেসেছে, কষ্টে থেকেছে, তবে অনাহারে থাকেনি। তবে উচ্চমূল্যে চাল কিনে খেতে হয়েছে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে। সরকার জরুরী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিদেশ থেকে চড়া দামে চাল আমদানি করে। এও সত্য যে, ধান-চালের ব্যবসায়ী, চাতালমালিক ও আমদানিকারকরা এর পুরোপুরি সুযোগ নিয়েছে। মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অবলম্বন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে গরিবের পকেট থেকে টাকা-পয়সা প্রায় লুটে নেয়া একশ্রেণীর মানুষের স্বভাব। সরকারও এ সময়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সময়মতো চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। প্রতিবেশী দেশের রফতানিকারকরাও মওকা বুঝে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। গত বছর বিশেষ করে এই বিষয়টি হয়েছে চাল ও পেঁয়াজকে কেন্দ্র করে। এ বছর এমনটি ঘটবে না বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা এ বছর হাওড়ে বাঁধভাঙা ফসলের সংবাদ পাওয়া গেছে। খাদ্য মজুদও যথেষ্ট। এ পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি যেটুকু হয়েছে যৎসামান্য। চৈত্রের নিদাঘ প্রহর তথা দাবদাহের খবর তেমন পাওয়া যায়নি। বরং বসন্ত কেটেছে মনোরম ও নাতিশীতোষ আবহাওয়ায়। ভাল-মন্দ মিলিয়ে মিশিয়ে বলতেই হয় যে, বছরটি গেছে ভালয় ভালয়। বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা ও অঘটন ছাড়াই। বোধকরি বড় ব্যতিক্রম নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনা। এখন তো মানতে হবে যে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সত্ত্বেও দুর্ঘটনা একেবারে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় হয়তো নেই। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমানটির তো অদ্যাবধি কোন খোঁজ পাওয়া গেল না। এই অপার রহস্যের উত্তর দেবে কে? এবারে বাংলা পঞ্জিকার সামান্য একটি সমস্যা নিয়ে একটু বলি। প্রতিবছর বাংলাদেশে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় পহেলা বৈশাখ তথা নববর্ষ পালন নিয়ে অহেতুক একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অথচ প্রায় একই জাতি-গোষ্ঠী, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসংবলিত, একই সংস্কৃতি ও ভাষাভাষী, সর্বোপরি অভিন্ন হৃদয়। সে অবস্থায় একদিন আগে-পরে নববর্ষ পালন বাঞ্ছনীয় নয়। এতে অনুষ্ঠানের ঐক্য, প্রীতি ও সম্প্রীতি কিছুটা হলেও বিঘিœত হয়। মূলত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কর্তৃক বাংলাদেশের দিনপঞ্জি সংস্কার তথা ইংরেজী দিনপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে সৃষ্টি হয় এই জটিলতার। তবে বাংলা একাডেমি এর একটি সুষ্ঠু ও সমন্বিত সমাধান বের করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এর জন্য যথাযথ কাজসহ প্রস্তুতিও চলছে। হয়তো অচিরেই উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হবে এবং একই দিনে বিশ্বের সর্বত্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল ও সম্প্রদায়ের মধ্যে একই দিনে পালিত হবে বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ। তাতে দুর্ভোগ ঘুচবে বাংলা পঞ্জিকার। আরও একটি সুসংবাদ দিয়ে শেষ করতে চাই প্রসঙ্গটি। বাংলাদেশ ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর এবং ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ সর্বস্তরে বাংলা-সন-তারিখ চালু ও ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত সর্বস্তরে বাংলা ভাষার সূচনা হয়নি। বাংলা সন-তারিখ তো দূর অস্ত। তবে সরকারী অফিস-আদালত, দলিল-দস্তাবেজে ইংরেজী সন-তারিখের পাশাপাশি বাংলা সন-তারিখ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেসরকারী পর্যায়ে এর আদৌ কোন প্রচলন নেই। দৈনন্দিন জীবনযাপনেও বাংলা-সন তারিখ উল্লেখ করতে ভুলে যাই আমরা। অথচ একটু চেষ্টা করলেই এর অবসান হতে পারে। ইংরেজী ও হিজরী দিন-তারিখ-বার সংবলিত বাংলা পঞ্জিকা কিন্তু প্রায় সবার ঘরেই থাকে, এমনকি ডেস্ক ক্যালেন্ডারেও। সে অবস্থায় বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে চর্চা আরও একটু বাড়ালে দোষ কী! লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
×