ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিনোদন ও মনোরঞ্জন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৯ মার্চ ২০১৮

বিনোদন ও মনোরঞ্জন

বিনোদন, চিত্তবিনোদন ও মনোরঞ্জন যা এক প্রকারের ধারণা। যে কাজ বা প্রদর্শনী শ্রোতা-দর্শকদের আনন্দ দান করে এবং মনোজগতে প্রশান্তির সাড়া জাগিয়ে তোলে তাই বিনোদন। বাংলাদেশ স্বল্প-উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। ২জি প্রযুক্তি থেকে ৩জি, যা এখন ৪জি তে উন্নীতকরন করা হয়েছে। সময়ের পালাক্রমে আমাদের চিত্তবিনোদন ও মনোরঞ্জনের ধারাও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের প্রিয় প্রজন্মকে এখন আর ঘন্টার ঘন্টা মাঠে খেলতে দেখা যায় না। টেলিভিশন দেখতে দেখা যায় না, সারাক্ষণ শুধু মোবাইল আর ফেসবুকিং। আমাদের সময়ে টেলিভিশন দেখার প্রতি বিশাল ঝোঁক ছিলো। সে সময়ে টেলিভিশন বলতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ছিল। স্কুল থেকে এসেই অপেক্ষা করতাম কখন শুরু হবে মিনা কার্টুন। শুক্রবার সকাল থেকেই অপেক্ষা করতাম কখন ৯টা বাজবে আর শুরু হবে ১,২,৩ সিসিমপুর। ভালো একটা গানের অনুষ্ঠান হতো ‘এসো গান শিখি’। সেটার জন্য অপেক্ষা করতাম, প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন গান শেখানো হতো। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখতাম। সব সময় নানা কৌতূহল মনে ঘুরপাক খেতো। নতুন একটা গান শুনলে তা মুখস্থ করতাম আর স্কুলে বৃহস্পতিবার শেষ ক্লাসে সেই গান গাইতাম। সহপাঠীরা মাঝে সাজে প্রশংসা করতো হাততালি দিত, যা খুবই ভালো লাগতো তখনকার সময়ে। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বিনোদন মানেই প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তিকে ঘিরেই তাদের সব আবদার। আমাদের প্রিয় প্রজন্ম এখন টেলিভিশনের চেয়ে ইউটিউবে বেশি সময় ব্যয় করে। আমি সত্যিই শংকিত, আমি ভয় পাচ্ছি আমাদের প্রিয় প্রজন্মের সুস্থভাবে বেড়ে উঠবার প্রক্রিয়া নিয়ে। যে সময়টা ব্যয় করার কথা ছিলো খেলার মাঠে খেলাধুলা হৈহুল্লোড় করে, সেই সময়টা আমাদের বর্তমান প্রজন্ম দলগত ভাবে মোবাইল বা কম্পিউটারে গেইম খেলতে দেখি। যা কখনো সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম হতে পারে না।এই প্রযুক্তি নির্ভর বিনোদন আমাদের প্রজন্মকে মানসিকভাবে অলস ও আবেগ অনুভূতিহীন যন্ত্রমানবে পরিণত করছে।কালে কালে বিনোদন বদলে যাচ্ছে, যতটুকুই পরিবর্তন হচ্ছে তার মধ্যে যেন সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা যেন অব্যাহত থাকে। কেননা সংস্কৃতি হলো আমাদের বংশ পরম্পরা পাওয়া নিজস্ব শিক্ষা ও স্বাধীনতা। যা আমাদের জাতিসত্তাকে টিকিয়ে রাখবে আগামী দিনে। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×