ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

অনিশ্চয়তায় বাগেরহাটের মেরিন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২০ মার্চ ২০১৮

অনিশ্চয়তায় বাগেরহাটের মেরিন শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ এক মাস ধরে বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ইনস্টিটিউটে অধ্যায়নরত ৪৫০ জন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত। ধীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রম। এরই মধ্যে আগামী ২৫ মার্চ প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পর্ব মধ্য (মিডটার্ম) পরীক্ষা। তাই দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে সোমবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয় থেকে বদলিকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে আবারও বাগেরহাট থেকে যাবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আইএমটির শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেঘলা হাচান শান্তা বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ আমাদের পরীক্ষা। কিন্তু এখনও এই সেমিস্টারে আমাদের কোন ক্লাস হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা আরও জানান, অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাগেরহাট আইএমটি অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরে সংশ্লিষ্ট দফতর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক প্রশিক্ষণ সাজ্জাদ হোসাইনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে তদন্তে আসেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক প্রশিক্ষণ সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি ২৫ ফ্রেরুয়ারি রবিবার ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সরোজমিন তদন্ত করেন। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রবসী কল্যাণ ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে বদলিকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে আবারও বাগেরহাট থেকে যাবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আইএমটির শিক্ষার্থীদের। এ সময় অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে বাঁচানোর জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আমাদের সাড়ে চার শ’ শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ টাকা ও রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চলা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
×