ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দুই স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৪ মার্চ ২০১৮

নেত্রকোনায় বাল্যবিবাহ  থেকে রক্ষা পেল দুই  স্কুলছাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৩ মার্চ ॥ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। বাল্যবিবাহের হাত থেকে মুক্ত এই কিশোরীরা হচ্ছে- কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের গোড়াগাঁও গ্রামের আমেনা খাতুন পলি (১৪) ও বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের রনি আক্তার (১৪)। জানা গেছে, কলমাকান্দার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের গোড়াগাঁও গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে আমেনা খাতুন পলি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। সম্প্রতি তার অভিভাবকরা একই ইউনিয়নের চৈতানগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম সুমনের (২৫) সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেন। আগামী শুক্রবার তার বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা এ আয়োজনের খবর পেয়ে প্রথমে মেয়েটির অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করেন। কিন্তু এরপরও অভিভাবকরা বিয়ে বন্ধে রাজি না হওয়ায় তারা বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে জানান। পরে ইউএনও মোঃ আরিফুজ্জামান মেয়েটির অভিভাবকদের তার কার্যালয়ে ডেকে এনে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে বারহাট্টার সাহতা ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের রনি আক্তারও স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। কয়েকদিন আগে তার বাবা-মা ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার এক যুবকের (২৫) সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেন। আগামী বৃহস্পতিবার তার বিবাহ সম্পন্ন হবার কথা ছিল। গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন সোমবার সন্ধ্যায় লোক পাঠিয়ে মেয়েটির অভিভাবকদের তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে তাদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন। . বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ পন্ড করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তারের হস্তক্ষেপে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। জানা গেছে, সোমবার রাতে ওই গ্রামের মৃত খালেক সিকদারের কন্যা সাদিয়া আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তারকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিক ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রুম্পা সিকদার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইশরাত জাহান থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিবাহ প- করে দেন।
×