ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী বিক্রির প্রভাব রংপুরে কমতির দিকে চালের দাম

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৩ মার্চ ২০১৮

সরকারী বিক্রির প্রভাব রংপুরে কমতির  দিকে চালের  দাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১২ মার্চ ॥ রংপুরে সরকারী উদ্যোগে ওএমএস ও হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রংপুর সিটি বাজারের চালের আড়তদাররা জানান, এই বাজারে চালের সরবরাহ প্রচুর। বিক্রি তেমন নেই। তারা বলেন, ভারতীয় চাল আমদানিতে সরকার রাজস্ব উঠিয়ে নেয়ায় হাট বাজারগুলোতে সরবরাহ প্রচুর। এ ছাড়াও ওএমএস ও হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হওয়ার কারণে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, রংপুর সিটি বাজারে প্রকার ভেদে চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আগে বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬ থেকে ৬০ টাকা, স্বর্ণা-৫ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর-১১ ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ৩৭ থেকে ৩৯ টাকা। চালের পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে সরবরাহ অনেক বেশি কিন্তু বিক্রি কম। দু’মাস আগে চালের বাজার চড়া থাকলেও এখন কমতির দিকে। তাদের দাবি, ভারতীয় চাল বাজার ভরে যাওয়ায় চালের বাজার বাড়ছে না। এ ছাড়াও সরকারী উদ্যোগে ওমমএস ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। রংপুর জেলা বাসদের সমন্বয়ক আব্দুর কুদ্দুস চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ওমমএস ও ১০ টাকা কেজি দরে চালের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তার মতে, অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণে সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
×