ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আশুলিয়ায় আগুনে পুড়েছে ৩ কারখানা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১০ মার্চ ২০১৮

আশুলিয়ায় আগুনে পুড়েছে ৩ কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৯ মার্চ ॥ আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তিনটি কারখানা ও একটি ভাড়া বাড়ির ১৫টি কক্ষ এবং কক্ষের ভেতরে থাকা সকল মালামাল ভস্মীভূত হয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে আশুলিয়া থানাধীন পশ্চিম জিরাবো বাগানবাড়ি এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে আশুলিয়া, টঙ্গী, উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সদর দফতরের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে ৩টি নিটিং কারখানা ও একটি ভাড়া বাড়ির ১৫টি কক্ষ পুড়ে যায়। জানা গেছে, এদিন দুপুর তিনটার দিকে আশুলিয়ার পশ্চিম জিরাবো বাগানবাড়ি এলাকার এ প্লাস টিনিং লিমিটেড কারখানার গোডাউন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানকার শ্রমিকরা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও রাস্তায় যানজট থাকায় এবং ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথ সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বাধার মুখে পড়ে। এ সময় আগুন পাশর্বর্তী আরও ২টি কারখানা ও একটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ প্লাস টিনিং লিমিটেড কারখানার নিটিং অপারেটর শাহিন জানায়, প্রথমে কারখানার গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি করায় আগুন পাশর্^বর্তী আরইএম এক্সেসরিজ লিমিটেড ও এসবি নিটিং লিমিটেড কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও আগুনে পাশর্বর্তী তুহিন ডাক্তারের ভাড়া দেয়া বাড়ির ১৫টি কক্ষ ভস্মীভূত হয়ে যায়। উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় যানজট থাকায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে একটু সময় লাগে। তারপরও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করেন। রেডিয়েন্ট নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার মালিক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, আগুন লাগা কারখানাগুলোর নিজস্ব কোন পানির উৎস নেই। তাদের কারখানা থেকে পানি দিয়ে আগুন নিভাতে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেন। না হলে আগুনের ভয়াবহতা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখানকার লোকজন রাস্তা না ছেড়ে বাড়ি-ঘর, দোকান ও কারখানা ভাড়া দিয়েছে। এখন আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। ফায়ার সার্ভিসের ৫নং জোনের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত সাভার, ইপিজেড উত্তরা, টঙ্গী ও ফায়ার সদর দফতর থেকে ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে, রাস্তায় যানজট থাকায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগে। এছাড়া, আগুন লাগা কারখানাগুলোতে পানির নিজস্ব উৎস না থাকায় আগুন নিভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবে, অগ্নিকা-ের কারণ এবং ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত ছাড়া কোন কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
×