ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান যোগাযোগে আগ্রহী অসম ॥ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ৯ মার্চ ২০১৮

 বিমান যোগাযোগে আগ্রহী অসম ॥ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত

অসম সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ করে বিমান যোগাযোগ স্থাপনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে করে বাংলাদেশ ও অসম পরস্পরের উন্নয়ন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে। বৃহস্পতিবার হোটেল ভিয়াভন্ত বাই তাজ-এ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে অসমের গবর্নর জগদীশ মুখ ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল পৃথক পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে বিমান যোগাযোগের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। -খবর বাসস’র। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সোলার সামিটে যোগ দিতে ৪ দিনের ভারত সফরের অংশ হিসেবে এখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমে রয়েছেন। অসমের গবর্নর ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি প্রতিবেশীদের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ ও আসামের মধ্যে অধিকতর যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মতো পরীক্ষিত ও বন্ধু প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও এর জনগণের আন্তরিক অবদান ও সমর্থনের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্দিনে সর্বোচ্চ আতিথেয়তা ও সমর্থনের জন্য আমরা ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ।’ উল্লেখ্য, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ১৯৭১ সালে ভারতে বিশেষ করে অসমে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে দুই নেতা বলেন, মোঃ আবদুল হামিদের মতো সত্যিকার দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের মধ্যে পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। তারা পর পর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে পর্যটন খাতে উন্নয়ন সম্ভাবনা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি রেডিসন ব্লু হোটেলে অসমের গবর্নরের দেয়া এক নৈশভোজে ভাষণ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল বক্তৃতা করেন। রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। সে সময় এখানে তিনি সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতি হামিদ কামাক্ষ্যা মন্দির পরিদর্শন করেন এবং মাচখোয়া ঘাটে নদী ভ্রমণ উপভোগ করেন। লালগালিচা সংবর্ধনা ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের রাজধানী গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। আবদুল হামিদ নয়াদিল্লীতে সোলার সামিট-২০১৮ এবং অসমে ‘ফাউন্ডিং কনফারেন্স অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সে (আইএসএ)’ যোগ দিতে চারদিনের সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি পৌঁছান। ১১ মার্চ নয়াদিল্লীতে এ সম্মেলন শুরু হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৪৪ মিনিটে গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে অসমের গবর্নর জগদীশ মুখ, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার, নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।
×