ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

অস্তিত্ব সঙ্কটে হালদার অর্ধশতাধিক শাখা খাল

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৯ মার্চ ২০১৮

অস্তিত্ব সঙ্কটে হালদার অর্ধশতাধিক  শাখা খাল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এক সময়ের খরস্রোতা চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার হালদার নদী। এই নদী সংযোগে প্রায় অর্ধশতাধিক শাখা খাল রয়েছে। এ সব খাল এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। উত্তর চট্টগ্রামের এই তিন উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবকটি খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ভূমিহীন চাষীরা সেখানে ইরি-বোরো ধান আবাদ করছে। এসব নদীর পলি অপসারণের উদ্যোগ না নেয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে ব্যাপক ফসলহানির ঘটনা ঘটছে। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর আশপাশে জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। গেল বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফসলের। অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে হালদার শাখার এ সব খাল। এতে পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। এক সময়ে ঐতিহ্য উল্লেখিত খালগুলো এখন কেবলই স্মৃতি। হাটহাজারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, এই সব উপজেলার ভেতর দিয়ে বাইনজইনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ছোটখাটো খাল বয়ে গেছে। ৫০ বছর আগেও এসব খাল দিয়ে পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। প্রতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে পানির ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালু জমে খালগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে গেছে। জমির ওপরিভাগ থেকে এসব নদীর তলদেশের ব্যবধান কোথাও কোথাও মাত্র ৩-৪ ফুট। বছরের পর বছর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। হালদার শাখা খালগুলোর আশপাশে এলাকার খালের তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, আমাদের বয়স যখন ১০ থেকে ১৬ তখন এই হালদা শাখা খাল দিয়ে রং-বেরঙ্গের পালতোলা নৌকা মাল বোঝাই করে নিয়ে যেতে দেখেছি। ভয়ে এই খাল এ গোসল করতে কেউ নামত না। আজ দেখছি পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া পানিশূন্য । এ নদীর বুকে কৃষক রোপণ করছে ইরি-বোরো রোপা। বর্ষায় টানা দু’তিন দিন বর্ষণ হলেই খালগুলো দিয়ে উপচে দু’ধারের এলাকা ডুবে গিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফাগুন-চৈত্র মাসে শাখা খালের গর্জনে নদীর পাড়ে ভয়ে কেহ যেত না। নানা রঙ্গের পালতোলা নৌকা মাল বোঝাই করে এই নদী দিয়ে যাওয়া-আসা করেছিল।
×