ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজশাহীতে উৎসব আমেজ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজশাহীতে উৎসব আমেজ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী সফর ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে জেলা ও মহানগরের সর্বত্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ঘিরে এখন রাজশাহীতে সাজ সাজ রব। রাজশাহী ছেয়ে গেছে পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার আর রাস্তার উপর বিশাল বিশাল তোরণে। প্রচার চলছে মাইকেও। সভা, সমাবেশ, প্রতিনিধিসভা ও গণসংযোগ করেও প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনসভা সফল করতে ছুটে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। প্রচার প্রচারণার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মহানগর নেতারা। স্থানীয় বিভিন্ন আসনের এমপিরা প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন। প্রস্তুত হচ্ছে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান। আগামী সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের তারা। জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে ঐক্য গড়ে উঠবে তা আগামী নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন এ বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণায় কাজ করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সফরকালে ২৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও আরও চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি রাজশাহীবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর ও বড় পাওয়া। ডাবলু সরকার আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ও দুইটি স্কুল সরকারী করা ছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, প্রস্তাবিত চামড়া শিল্প নগরী স্থাপন, বিমান বন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীতসহ নয়টি উন্নয়ন ভাবনা রাজশাহী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা আশা করছি রাজশাহীবাসীর এসব প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেবেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এই জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্য আরও সুদৃঢ করবে। এ জনসভার মাধ্যমেই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিও আমরা সম্পন্ন করছি। এ জনসভায় ৫ লাখের অধিক জনসমাগম হবে। যে যার অবস্থান থেকে দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের উপকারভোগী সকল পর্যায়ের মানুষ এ জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রায় ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়াও আশপাশের এলাকাতেও জনসভায় আগতদের অবস্থান করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
×