ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে সেতুমন্ত্রী

দেশের প্রথম টানেলের বোরিং কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দেশের প্রথম টানেলের বোরিং কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য দেশের প্রথম টানেলের বোরিং কাজ শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। ইতোমধ্যে তৈরি হওয়া বোরিং মেশিনটি আগামী মে মাসে চীন থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী আরও জানান, বোরিং মেশিনটি স্থাপনে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদারের ক্যাম্প, আবাসন ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট, গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, ঋণচুক্তিতে চীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম কিস্তির ১৪১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গত ডিসেম্বরে ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে। সংসদ সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে সারা দেশে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) ১২৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর অর্থ সহায়তার সাড়া মেলেনি ॥ জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। এরইমধ্যে দু’টি স্প্যান বসানো হয়েছে এবং মার্চে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে। অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে যথাসময়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। তবে আরিচা-দৌলতদিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোন সাড়া পাওয়া যাইনি। মন্ত্রী জানান, আরিচা-দৌলতদিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে এবং এরই পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প ছক বা পিডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে নীতিগত অনুমোদিত হয়েছে। তবে মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে প্রথম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে ॥ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এসডিজি-২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনে অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার হার শতকরা ৫০ ভাগ কমে আনতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। তিনি জানান, চলমান সকল মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় স্থানসমূহে রোড ডিভাইডার স্থাপন করা হচ্ছে। ২২টি মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ৩৭৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেন বা তদূর্ধে লেনে উন্নীতকরণ করা হয়েছে, ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশেষত মুখোমুখি সংঘর্ষের হার বর্তমানে এ সকল মহাসড়কে নেই বললেই চলে।
×