ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির ২৩০ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির ২৩০ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের বাড়ির মালিকরা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ২৩০ কোটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৭ টাকা বকেয়া রেখেছে। তবু ঢাকায় শুধু মশা মারার কাজে ২৮৮জনকে নিয়োজিত রেখেছে সরকার। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাড়ির মালিকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৭ টাকা বকেয়া রয়েছে। আর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাড়ির মালিকদের কাছে প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় হোল্ডিং নম্বরবিহীন কোন বাড়ি নেই। চট্টগ্রামের এমপি দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা মশক নিবারণী দফতরের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৩৯৬পদ রয়েছে। এর মধ্যে শূন্য ৭৪টি পদে লোক নিয়োগের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, ঢাকা মশক নিবারণী দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণে প্রেষণে কর্মরত আছেন। তারা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে মশক নিধনের কাজ করছেন। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে শতকরা ৮৭ ভাগ জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধার আওতাভুক্ত। সে হিসেবে দেশে মোট ১৩ কোটি ৯২ লাখ জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করে থাকে। অবশিষ্ট ১৩ ভাগ জনগণ দূরবর্তী অন্যান্য নিরাপদ পানির উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকে। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৯ ভাগ মানুষ মৌলিক স্যানিটেশনের আওতাভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ ভাগ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ ভাগ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ ভাগ জনগণ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন।
×