ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর সব দেশে নির্বাচন ও নেতা -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

পৃথিবীর সব দেশে নির্বাচন ও নেতা -স্বদেশ রায়

যে কোন জাতীয় নির্বাচনে দল ও দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেক বড় বিষয়। তবে পৃথিবীর ইতিহাস, আমাদের এ উপমহাদেশের ইতিহাস- এমনকি আমাদের দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বিষয় নেতা। যদিও অনেকে অনেক বেশি গণতান্ত্রিক হয়ে বলেন, কোন একক নেতা নয়, সামষ্টিক নেতৃত্বই বেশি ভাল। তাঁদের কথার ভেতর একটি তাত্ত্বিক সত্যতা আছে। কারণ, গণতন্ত্র একটি বিকাশমান পদ্ধতি। যার বিকাশ এখনও শেষ হয়নি। তাই ভবিষ্যতের জন্য অনেকেই অনেক বেশি গণতান্ত্রিক প্রস্তাব রাখতে পারেন। গণতন্ত্র তার চলার পথের গ্রহণ ও বর্জন দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশকে তার অঙ্গ করে নেবে। তবে এখানে একটি বিষয় যদিও খুব হাল্কা, তারপরেও উল্লেখ করতে হয়, বাংলাদেশে এই সামষ্টিক নেতৃত্বের কথা আওয়ামী লীগে থাকতে বলতেন ড. কামাল হোসেন। তিনি নিজে একটি দল করেছেন, ১৯৯১ সালে- যে দলটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন ড. ইউনূস বলেছিলেন, এটি তাঁর স্বপ্নের দল। ইউনূসের ওই স্বপ্নের দলের ১৯৯১ সাল থেকে আজ ২০১৮ অবধি ড. কামাল হোসেনই সভাপতি। এর কোন পরিবর্তন হয় না। নিয়মিত কাউন্সিলও হয় না। তবে ড. কামাল হোসেন ও ড. ইউনূস তাঁদের কথা নয় কাজের ভেতর দিয়ে প্রমাণ করেছেন, এখনও পর্যন্ত ব্যক্তি একটা বিষয়। নেতৃত্বও একটি বিষয়। যেমন ড. ইউনূস তাঁর বয়স চলে যাওয়ার পরেও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকতে চেয়েছিলেন। যতদূর জানি অর্থমন্ত্রীও চেয়েছিলেন, ড. ইউনূস যাতে তাঁর মেধা গ্রামীণ ব্যাংকে প্রয়োগ করতে পারেন, তার একটা সুযোগ করে দিতে। তাই তিনি তাঁকে সিনিয়র এ্যাডভাইজার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা হোক, সে সুযোগ তিনি নিজেই নষ্ট করেছিলেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। সে প্রসঙ্গে গেলে লেখার বিষয়বস্তু অন্য দিকে চলে যাবে। তবে এখান থেকে যে সত্য বেরিয়ে আসে তা হলো, আসলে সচেতন বা অবচেতনভাবে হোক ড. কামাল ও ড. ইউনূস প্রমাণ করেছেন, ছোট ছোট ক্ষেত্রেও তাঁদের নেতৃত্বই বড়। তাই ছোট ছোট ক্ষেত্রে যখন মূল নেতৃত্বই বড়, তখন জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতা অনেক বড় বিষয়। যেমন, এবার আমেরিকার নির্বাচনে হিলারির ভরাডুবি হয়েছে। কেন এই ভরাডুবি হলো এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা তাদের পার্টির পক্ষ থেকে মূল্যায়ন করেছেন। বিস্তৃত রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তবে এসব মূল্যায়ন ও রিপোর্টের আগেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, তিনি প্রার্থী হলে অবশ্যই ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, নেতাই জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য বড় বিষয়। যেমন, ব্রিটেনে লেবারকে নিউ লেবারে পরিণত করে যখনই নীল কিনক এলেন, লেবাররা নির্বাচনে ভাল করল। লৌহমানবী থেচারের একক শাসনের মধ্যেও কিনক ভাল করলেন। তারপর থেকে কিন্তু ব্রিটেনে লেবারদের ভাগ্য খুলতে থাকে। থেচারের যুগের অবসান হয় যেমন, তেমনি লেবারের নেতা হন টগবগে তরুণ টনি ব্লেয়ার। আজ তিনি যতই নিন্দিত হোন না কেন, লেবারকে নবজীবন দিয়ে তিনিই ব্রিটেনের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন। যেমন, পাকিস্তানে যদি বেনজীর নিহত না হতেন, পিপলস পার্টি ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারত। বেনজীরের মৃত্যুর পর সহানুভূতির ভোট জারদারিকে ক্ষমতায় এনে দিয়েছিল। তবে জারদারি যে বেনজীর নন, আর পিপলস পার্টির নেতৃত্বের তুলনায় নওয়াজ অনেক ভাল, তাই স্বাভাবিকই নওয়াজ ক্ষমতায়। এমনিভাবে বর্তমানে ভারতের বিজেপি ক্ষমতায় আছে। তাদেরও দশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছিল। কারণ, অটল বিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ার পরে তারা নেতৃত্বের সঙ্কটে পড়ে। গত নির্বাচনের আগে দীর্ঘ মুখ্যমন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক বক্তব্য দুইয়ের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি প্রমাণ করেন তিনি ভাল নেতা। স্বাভাবিকই তাঁর জনপ্রিয়তায় তাঁর দল ক্ষমতায় আসে। এমনকি সম্প্রতি হয়ে যাওয়া গুজরাট বিধান সভা নির্বাচনেও বিজেপি জিতেছে মোদির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে। ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাত্র আড়াই বছর তাঁকে ক্ষমতার বাইরে রাখা সম্ভব হয়েছিল। কংগ্রেস ভেঙ্গেছে, বড় বড় নেতা সব বাইরে চলে গেছেন। তারপরেও নব কংগ্রেস তৈরি করে, নতুন প্রতীক নিয়ে বিশাল জয়সহ ক্ষমতায় ফিরে আসেন ইন্দিরাজী। সেখানেও কিন্তু মানুষ আস্থা রেখেছে নেতার ওপর। যেমন, তিন দশক পরে ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার পরেও আবারও নবতিপর মাহথিরকে সে দেশে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে উম্মন পার্টি নির্বাচনে নামছে। এই মুহূর্তে যদি থাইল্যান্ড নির্বাচন দেয় এবং থাকসিন সিনহটকে ফিরতে দেয় তাহলে তিনিই নির্বাচনে জিতবেন। তাঁর দল থাই রাক থাই - সরকার গঠন করবে। কারণ, তাঁর নেতৃত্বের ওপর সে দেশের মানুষের আস্থা আছে। এই তো মাত্র কিছুদিন আগেই জাপানের মানুষ এ্যাবেকে নির্বাচিত করেছে। কেন তাঁকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করল সে দেশের মানুষ? এ্যাবে সে দেশের মানুষকে নির্বাচনের আগে ওয়াদা করেন, তিনি জাপানকে পুনরায় আগের জায়গায় নিয়ে যাবেন। তাঁর স্লোগান ছিল ‘রিসেট জাপান’। মানুষ এ্যাবের বিগত শাসন দেখে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছেন, তিনিই একমাত্র জাপানকে তার হারানো সামরিক ও অর্থনৈতিক গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারবেন। আর যে সময় চায়নার নৌ সিল্ক রুট এগিয়ে আসছে, অন্যদিকে জাপানের নাকের ডগায় নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক অস্ত্রের বোতাম হাতে নিয়ে আপেল ছিঁড়ছেন- সে সময়ে জাপানের তো কোনমতেই নপুংসক হয়ে বসে থাকার সময় নেই। তাদের প্রয়োজন হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনা। সেক্ষেত্রে সে দেশের মানুষ আস্থা করতে পেরেছে এ্যাবের ওপর। তাই তাঁকেই তারা বিজয়ী করে একক মেজরটি দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে জার্মানির নির্বাচনে ভয়াবহ রকম ইমিগ্রেশন বিরোধিতাকে মোকাবেলা করতে হলেও শেষ পর্যন্ত মেরকেল জিতেছেন। এই জেতারও একমাত্র কারণ, তাঁর দেশের মানুষ এখনও নেতা হিসেবে মেরকেলের ওপর ভরসা রাখে। এমনিভাবে যদি আমরা আমাদের বাংলাদেশের অতীতের ইতিহাস দেখি তাহলে দেখতে পাই, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কৃষক শ্রমিক প্রজা পার্টি তৈরি করলে মানুষ তাঁকেই ভোট দেয়। তিনিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। আবার তাঁর নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে যখনই কিছুটা অস্থিরমনা দেখতে পেয়েছে মানুষ, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে নেতা মেনে নিয়েছে। তাঁকেই ভোট দিয়েছে। ’৫৪ তে তিনি যুক্তফ্রন্ট করলে মুসলিম লীগ ভেসে গেছে। তারপরে ’৭০-এর নির্বাচন, মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়েছে। এমনকি তাঁর দলের প্রার্থী সে সময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর থেকে বেশি পরিচিত ছিলেন শেখ সাহেবের প্রার্থী বা বঙ্গবন্ধুর প্রার্থী হিসেবে। বাংলাদেশ আবার একটি নির্বাচনী বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। যে সময়ে বাংলাদেশ এই বছরটিতে প্রবেশ করল সেই সময়টি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জন্য অনেক জটিল বছর। প্রথমত বাংলাদেশে এ মূহূর্তে দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী। আবার কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনের কোন অঞ্চলে বা অন্য কোথাও সশস্ত্র ট্রেনিং নিচ্ছে, যা সম্প্রতি আল-জাজিরা প্রচার করেছে। ইতোমধ্যে তারা আরাকানে একটি হামলা চালিয়ে তার দায়ও স্বীকার করেছে। রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার যে চুক্তি হয়েছে তাতে আগামী দুই বছরে মাত্র দুই লাখের কিছু বেশি রোহিঙ্গা ফেরত যাবে। ৮ লাখের মতো রোহিঙ্গা থাকবে তখনও। এদের ভেতর যাতে কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ কাজ করতে না পারে, তা কঠোরভাবে বাংলাদেশকে দেখতে হবে শুধু নিজের স্বার্থে নয়, উপমহাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেও। পাশাপাশি বাংলাদেশের দুই বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত ও চীন অর্থনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে। চীন তাদের আধিপত্য বাড়ানোর জন্য মালদ্বীপে একটি দ্বীপ কিনেছে। শ্রীলঙ্কায় পোর্ট তৈরি করে লিজ নিয়েছে। পাকিস্তান থেকে আমেরিকা সাহায্য উইথড্র করলেও চীন করছে না। তারা নিজের স্বার্থে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র মনে করছে না। এসব মিলে চীনের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বা বাণিজ্যিক কূটনীতি বেশ আগ্রাসী। অন্যদিকে এটাও সত্য চীনের অর্থনীতি ও অর্থনৈতিক সাহায্যকে কেউ অস্বীকার করতে পারছে না। এমতাবস্থায় চীনের সঙ্গে ব্যালান্স করতে চার শক্তির নতুন জোট হতে যাচ্ছে (ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া)। তবে এই চার শক্তি কেউই চীনের অর্থনীতি ও চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যকে অস্বীকার করতে পারবে না। এখান থেকেই বোঝা যায় বিষয়টি কত জটিল। এই জটিল অবস্থার ভেতর এই চারের এককে অর্থাৎ ভারতকে প্রতিবেশী হিসেবে আলাদা করে নিয়ে আবার চারের জোটের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেও বাংলাদেশকে সব সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে চীনের সঙ্গে। চীনের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। আবার পাশাপাশি মালদ্বীপ বা শ্রীলঙ্কার মতো কোন ঘটনা চীন যেন বাংলাদেশে ঘটাতে না পারে, সেটাও বাংলাদেশকে দেখতে হবে। আন্তর্জাতিক এই ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেমন শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে। রোহিঙ্গারা যাতে সন্ত্রাসী না হতে পারে, কেবলমাত্র ক্যাম্প পিপল হিসেবে থাকে, সেটাও শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় নিতে হবে। কারণ, জনভার ও জনশক্তি দুটোই এখন প্রায় একই সঙ্গে বাংলাদেশের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এমতাবস্থায় কেমন বাংলাদেশ হলে বর্তমানের আঞ্চলিক, এশীয় ও বিশ্ব অর্থনীতির ট্রেনের সঙ্গে দেশকে যুক্ত রাখতে পারে, তা বাংলাদেশের নেতাকে ঠিক করতে হবে। বর্তমান সরকারের ক্ষমতার চার বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনা তাঁর আগামী দিনের স্লোগান মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামীতে ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’। বাস্তবে অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ছাড়া কোনমতেই বর্তমানের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাল মিলিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের এই দেশটিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গত নয় বছরে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমানের এই ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একেবারে দশভুজার মতো দশ হাতের এক হাতে চীন, এক হাতে ভারত, এক হাতে আমেরিকা, এক হাতে সৌদি আরব এমনিভাবে সবাইকে নিয়ে এগুনোর মতো আন্তর্জাতিক মানের নেতা এ মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই। তঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এরশাদের কর্মসূচীর মধ্যে- দেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব ছাড়া কোন নতুন কর্মসূচী নেই, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য কোন প্রস্তাব নয়। বাংলাদেশে লোকসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। লোকাল গভর্নমেন্টকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। কিন্তু প্রদেশে ভাগ করে দেশের একক সত্তাকে নষ্ট করা আমাদের সংবিধানের মূল চেতনার বাইরে। দ্বিতীয় নেতা খালেদা গত নয় বছরে দেশের জন্য নতুন কোন কর্মসূচী দিতে পারেননি। তাঁর পুঁজি মধ্যযুগীয় অর্থাৎ, ধর্ম ও সন্ত্রাস। তাই সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জাপানের নির্বাচনে এ্যাবে যেমন একক নেতা ছিলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনেও একক নেতা শেখ হাসিনা। নেতা ও নেতৃত্ব ছাড়া কোন কিছুই হয় না। যে মার্কসবাদ বলে ‘জনগণ’ নেতৃত্ব দেয়, সেই মার্কসবাদীদের বিপ্লব করতে গিয়ে নেতৃত্বের জন্য লেনিন, মাও বা ক্যাস্ট্রোর মতো ব্যক্তির কাছেই হাত পাততে হয়েছিল। তাই বাংলাদেশে গত নয় বছরে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নেতা এখন শেখ হাসিনা। তাঁকে বাদ দিয়ে কোন নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যদি ভুল নেতা নির্বাচন করা হয়, তা হলে এ দেশ বর্তমানের এই জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আবর্তনে পড়ে যে কোন অতলে তলিয়ে যেতে পারে। [email protected]
×