ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

নোয়াখালীতে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১৪ জানুয়ারি ॥ সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। এতে ভবনটিতে অধ্যয়নরত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীই মনের ভেতর সারাক্ষণই ভয় কাজ করে। ভয়ে থাকেন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। এরপরও ভবনটিতে গত ৭/৮ বছর ধরে পাঠদান করা হচ্ছে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল বিদ্যালয় ভবনের তিনটি কক্ষই জরাজীর্ণ। প্রাক-প্রাথমিক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চলে কক্ষ তিনটিতে। প্রতিটি কক্ষের ছাদে ফাঁটল ধরেছে। কিছু জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে এবং কিছু জায়গায় খসে পড়ার উপক্রম হয়ে আছে। খসে পড়া অংশ কোনমতে সংস্কার করে ঢেকে দেয়া হয়েছে, যা যে কোন মুহূর্তে পুনরায় খসে পড়তে পারে। দরজা-জানালাগুলোও ভাঙ্গাচোরা। সহকারী শিক্ষক ছাবিনা আক্তার বলেন, শ্রেণীকক্ষের অবস্থা এতটাই নাজুক বসে পাঠদান করতে তাদের ভয় লাগে। গত বছর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় তিনি শ্রেণীকক্ষে ছিলেন। এতে তার ভয়টা অনেক বেশি। বড় দুর্ঘটনার আগে ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ খুবই জরুরী বলে মনে করেন তিনি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আরা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন ভবনও নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। আবার জরাজীর্ণ ভবনটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনেই তিনটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও বিকল্প কোন উপায়ও তার কাছে নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন শেখ জানান, ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনি সরেজমিনে দেখে এসেছেন। নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অনুমোদনের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে যাবে। তবে কবে নাগাদ নতুন ভবন হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। উপজেলা প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তিনি বলেছেন। নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের নাম তালিকাভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।
×