ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে তার পরিবার। উন্নতি ঘটলেও সুস্থ ও স্বাভাবিক হতে তাকে দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। তিনি ক্রনিক রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দু’একদিনের মধ্যে তাকে বাসায় পাঠানো হবে। বাসায় চলবে তার চিকিৎসা। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর (৭০) সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য বুধবার রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করেন। এদিকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর তার সন্তানরা একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। গত রবিবার প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কাজী তূর্য আবেদনটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিহ্যাবিলিটেশনে রাখতে ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসারত মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে আজ-কালের মধ্যে বাসায় পাঠানো হবে। বাসায় চলবে তার চিকিৎসা। গত মঙ্গলবার রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে অধ্যাপক রফিকুল আমিন, অধ্যাপক আমিনুর রশিদ, অধ্যাপক সমিরণ কুমার সাহা এবং ডাঃ বারীন চক্রবর্তীর চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বসে। সেখানে প্রিয়ভাষিণীর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হবে। ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড রোগে ভুগছেন। এছাড়াও তার বাম পায়ের গোড়ালিতে ভাঙ্গাজনিত সমস্যা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কাজী তূর্য বলেন, তাদের মা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী জটিল শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে টানা প্রায় দু’ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মায়ের জন্য সুচিকিৎসাসহ একটি সুনিশ্চিত বাসস্থানের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে চিকিৎসার সাহায্য চেয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুচিকিৎসাসহ একটি সুনিশ্চিত বাসস্থানের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান কাজী তূর্য। ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।
×