বিপুল রোহিঙ্গা আগমনে পর্যটনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমনে পর্যটন শিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন সদ্যনিযুক্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের আগমনে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য বান্দরবান, কক্সবাজারসহ সংলগ্ন এলাকার পর্যটন শিল্পের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তবে পর্যটকদের নির্বিঘেœ চলাফেরার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ তৎপর রয়েছে। তাছাড়া দেশের পর্যটন গন্তব্যে পর্যটকদের ভ্রমণে আকৃষ্ট করার জন্য প্রচারসহ নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারী দলের আরেক সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী জানান, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে পর্যটক আগমনের সংখ্যা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংসদে পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মোট ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪ জন। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এসব পর্যটকদের বেশিরভাগই ভারত, চীন, জাপান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, নেদারল্যান্ড ইত্যাদি দেশের নাগরিক। মেতে চালু হবে রূপসী বাংলা হোটেল ॥ সাবেক শেরাটন বর্তমান রূপসী বাংলা হোটেলটি সংস্কার কাজ শেষে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংসদে জানান বিমানমন্ত্রী। হোটেলটি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস হতে সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হয়। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রূপসী বাংলা হোটেলের সংস্কার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫২৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। তিনি জানান, রূপসী বাংলা হোটেলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপ (আইএইচজি) ও বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির শর্তানুযায়ী ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর হতে সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে আইএইচজি’র কাছে পর্যায়ক্রমে হন্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আইএইচজি প্রয়োজনীয় পরীক্ষণ, কমিশনিং এবং ব্যালেন্সিং ট্রেনিং সিমুলেশন ইত্যাদি শেষে ২০১৮ সালের মে মাসের মধ্যে এই হোটেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।