ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরবঙ্গের বিশ জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্বে ২০ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

উত্তরবঙ্গের বিশ জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্বে ২০ কর্মকর্তা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সারাদেশে বয়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার ৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দুই দশমিক ছয় ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের শীতপ্রবণ ২০ জেলায় শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণে ২০ উর্ধতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হতদরিদ্রদের শীত মোকাবেলায় প্রয়োজনে তাদের এক স্থানে আনা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও মানবিক সহায়তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ কথা বলেন। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানুয়ারিতে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ আসছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, শীত নামার আগেই শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ ভা-ার থেকে ১৮ লাখ কম্বল পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার আগে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ৬৪ জেলায় সাত লাখ কম্বল এবং ৪১টি জেলার শীতপ্রবণ অঞ্চলে অতিরিক্ত দুই লাখ কম্বল সরবরাহ করেছি। শীতে মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে এমন ২০টি জেলার মধ্যে রয়েছে- দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, পাবনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া। এই ২০ জেলায় এক লাখ কম্বল ও ৮০ হাজার শুকনো খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী ১২ হাজার ৯০০ কম্বল আমরা বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মোট দশ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কম্বল ও ৮০ হাজার শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভা-ারের কম্বল এবং সব মিলিয়ে ২৮ লাখ দশ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শীত না কমা পর্যন্ত এই ২০ জেলায় ২০ উর্ধতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার সুষ্ঠু বণ্টন করবেন। এ ছাড়া আরও কোন কিছু প্রয়োজন হলে সেখান থেকে তারা চাহিদা পাঠালে আমরা তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেব। এ ছাড়া জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে।
×