ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্য পরিষদের তথ্য

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদায়ী বছর ২০১৭ সালে দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তৈরি করা এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণায় গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে।’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ওপর কমপক্ষে এক হাজার চারটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল কমপক্ষে এক হাজার ৪৭১টি। বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার তথ্য উল্লেখ করে এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮২ জন এবং ২২টি রহস্যজনক মৃত্যু ও মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিভিন্ন সহিংস হামলা ও শারীরিক নির্যাতনে আহত ও জখম হয়েছেন ৩২৫ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৮ জন, ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি। এর মধ্যে চারটি ঘটনায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’ প্রতিবেদনে জমিজমা, ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ৪৭১টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ২২৮টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাও রয়েছে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণায় গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে। তা সত্ত্বেও এ বছরে এক হাজারেরও বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আনুমানিক ৩০ হাজার ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তবে সহিংস ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হবে বলে দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, যুগ্ম সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ্য প্রিয়সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, গত বছর সংখ্যালঘু ও আদিবাসী এলাকায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাহাড়ীদের ওপর হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ।
×