ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে যুব ও ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতিরোধ করল পুলিশ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

হবিগঞ্জে পাগলা ঘণ্টা  বাজিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে যুব ও ছাত্রলীগ  কর্মীদের প্রতিরোধ করল পুলিশ  আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ৫ জানুয়ারি ॥ দুই নেতাকে গ্রেফতার দেখানোয় পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ায় অবশেষে পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হবিগঞ্জের উপজেলা বানিয়াচঙ্গের উত্তেজিত যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে প্রতিরোধ করল পুলিশ। পুলিশ, যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের স্ব স্ব বক্তব্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজিব যুবলীগ নেতা বাবুল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ৫/৬ নং ভূমি অফিসে খাজনা দিতে যান। এ সময় সংশ্লিষ্ট অফিসের এমএলএস আলী আখতার তাদের কাছে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে রাজিব এমএলএস আখতারের শার্টের কলার চেপে ধরে। শুধু তাই নয়, আখতারকে রাজিব ও বাবুল মিলে মারধর করে। এ ঘটনার পর স্থানীয় ইউএনও স্বন্দীপ কুমার সিংহের সুপারিশ সহকারে রাজিব ও বাবুলকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দেয় আখতার। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মোজম্মেল এই এজাহার পেয়ে তা তাৎক্ষণিকভাবে এফআইআর করেন। ঘটনা জানতে পেরে সন্ধ্যায় রাজিব ও বাবুল থানায় গেলে আখতারের দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এদিকে দুই নেতাকে গ্রেফতারের খবর বানিয়াচঙ্গ উপজেলা সদরে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিন রাতেই শত শত যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী থানা ঘেরাও করে এবং প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় নেতাকর্মীরা থানা ভবনে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ পরিস্থিতি বিবেচনায় থানায় পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে শত শত নেতাকর্মীকে প্রতিরোধে এ্যাকশনে নামে। শুরু হয় পুলিশ-নেতাকর্মী তুমুল সংর্ঘষ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংর্ঘষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ১০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় আহত হয় অন্তত ১৫ জন। পরবর্তীতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বড়বাজারে ঝাঁড়ুমিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় স্থানীয় ওই ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেতাকর্মীরা বলেন, ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোন কাজ হয় না। ফলে তারাও খাজনা দিতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে প্রতিবাদ জানালে। এমএলএস আখাতারের রোষানলের শিকার হন ওই দুই নেতা। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশী নিয়ন্ত্রণে।
×