ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধসে পড়ার আশঙ্কা

আমতলীর ৪০ পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান!

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

আমতলীর ৪০ পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২ জানুয়ারি ॥ আমতলী উপজেলার ৪০ পরিত্যক্ত ভবনে চলছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। ১৫ বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক ও ৬টি বিদ্যালয় ভবন খারাপ। জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। জানা গেছে, উপজেলায় ১৫২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান চলছে। ১৫টি বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক ও ৬টি বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা খারাপ। এ জরাজীর্ণ ভবনগুলো ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। শ্রেণী সঙ্কটের কারণে পরিত্যক্ত ভবনগুলোর মধ্যেই চলছে পাঠদান। ভবনের এ অবস্থা হওয়ায় বিদ্যালয় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গতবছর নবেম্বর মাসে আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ভবন ঘোষণা করা বিদ্যালয়গুলো হলো - গেরাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য টেপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চন্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমতলী লোচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলাইর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমতলী এমইউ বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডালাচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব তারিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেকুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হালিমা খাতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব হরিমৃত্যুঞ্জয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পূর্ব কুকুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য শাখারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেকান্দারখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম চিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাঠালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পূর্ব টেপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম টেপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কলাগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রাওঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আমতলী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রাওঘা সততা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রা চৌধুরীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রাওঘা কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম তক্তাবুনিয়া মমতাজ হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব তারিকাটা এসটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাউলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভবন খুবই নাজুক বিদ্যালয়গুলো হলো পূর্ব গুলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম চিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চরকগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ গুলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ঘটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম নাচনাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাওড়া লোদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভায়লাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাইঠা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাতাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব চিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভবন খারাপ বিদ্যালয়গুলো হলো গোজখালী বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চাওড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উল্টাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুকুয়া গোজখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষক ও অভিভাবকের অভিযোগ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় অল্প দিনের মধ্যে ভবনগুলো ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের অর্থায়নে এ ভবনগুলো ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়ে নির্মাণ করা হয়। ভবনগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পরেছে। রড বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। কক্ষের ভেতরের দেয়ালে ফাটল রয়েছে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সোনখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য সোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ। ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পরছে। ভিম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। চালার টিন ফুটো হয়ে গেছে। উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবনী, চাঁদনী, মাজহারুল, আরিফ হোসেন, শাকিল ও মীম জানায়, প্রতিদিন ভবনের পলেস্তার খসে পড়ছে। ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে।এ জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করার সময়ে আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন আবার ছাদের পলেস্তারা ভেঙ্গে মাথায় পড়ে।
×