ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ॥ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২ জানুয়ারি ২০১৮

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ॥ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই নতুল বছরের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মতে, এ বছরের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এটা সম্ভব। ২০১৮ সাল জনগণের বছর, গণতন্ত্রের বছর ও বিজয়ের বছর। জনগণই সেটা প্রতিষ্ঠিত করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সোমবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই। ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দিতেই নাম সর্বস্ব একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় সংলাপ চেয়েছে। সংলাপ ছাড়া কোন সমস্যার সমাধান হবে না। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করতে কোন আলোচনা ছাড়াই সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এটা মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ মনে করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ৫ জানুযারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় সরকার গলাটিপে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে মন্তব্য করেন। বলেন, খবরে দেখলাম একটি অপরিচিত নাম-গোত্রহীন ইসলামিক পার্টিকে সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জঙ্গীবাদবিরোধী সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার গলাটিপে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ভবিষ্যতে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার সমস্ত উদ্যোগকে বাধা প্রদান করছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনে বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সারাদেশের মানুষকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রত্যাশা করছি আগামী বছরে ছাত্রদল গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ছাত্রদের আরও সুসংগঠিত করবে। ছাত্রদের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ। এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মাজার চত্বরে শোডাউন করে। ৫ জানুয়ারি কালোব্যাজ ধারণ ॥ এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণার দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে এদিন সারাদেশের জেলা-উপজেলা সদরে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে তারা। সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকার গায়ের জোরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। বিএনপি এই দিবসটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস, গণতন্ত্র অপহরণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছি। একই সঙ্গে আগামী ৫ জানুয়ারি সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে বলেন, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়ে গত শনিবার চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোন জবাব আসেনি। তবে ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশ করার প্রস্তুতি রয়েছে।
×