ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নূরুল ইসলাম হাবিব

গণমাধ্যমের সঙ্গে জনসংযোগ বিভাগের সম্পর্কোন্নয়ন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২ জানুয়ারি ২০১৮

গণমাধ্যমের সঙ্গে জনসংযোগ বিভাগের সম্পর্কোন্নয়ন

বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণবিচ্ছিন্ন থাকার কোন সুযোগ নেই। জনসমর্থন বা জনগণের ভালবাসা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারে না। এজন্য জনস্বার্থে কাজ করতে হবে। আর এ কথা জনগণকে জানাতে হবে। জনগণকে জানার এ কাজটি করতে হলে প্রয়োজন গণমাধ্যমের সহায়তা। আর গণমাধ্যমের সহায়তা পেতে হলে তাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখার বিকল্প নেই। অব্যাহত যোগাযোগ : গণমাধ্যমের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতে হলে তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখতে হবে। টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে। তবে সামনাসামনি যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে। গণমাধ্যমের আস্থা ও বিশ^স্ততা অর্জন : সাংবাদিকদের কাছ থেকে জনসংযোগ বিভাগকে আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে হবে। এটি গড়ে ওঠে দীর্ঘদিনের কাজের মাধ্যমে। মনে রাখতে হবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিথ্যাচার করলে কোন দিন আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করা যায় না। তাদের সঙ্গে সত্য কথা বলতে হবে। প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর হলেও সত্য লুকানো ঠিক নয়। আব্রাহাম লিংকন এর উক্তি এ ক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। ‘ুড়ঁ পধহ ভড়ড়ষ ধষষ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ংড়সব ড়ভ ঃযব ঃরসব, ংড়সব ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধষষ ঃযব ঃরসব নঁঃ ুড়ঁ পধহহড়ঃ ভড়ড়ষ ধষষ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধষষ ঃযব ঃরসব.’ আন্তঃনির্ভরতা : সামরিক বাহিনী ও গণমাধ্যম পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্য দরকার এবং প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোন তথ্য পেলে আইএসপিআরের বক্তব্য দরকার। আবার সামরিক বাহিনীও কিছু কিছু বিষয় জনগণকে জানাতে চায়। সে জন্যেই প্রয়োজন তাদের মধ্যে আন্তঃনির্ভরতা। সেতুবন্ধনের কাজ করে আইএসপিআর : আইএসপিআর হচ্ছে গণমাধ্যম ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র সেতুবন্ধন। আইএসপিআর গণমাধ্যম ও সামরিক বাহিনী উভয়ের স্বার্থে কাজ করে। আইএসপিআর জানে গণমাধ্যম কি চায় এবং কিভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে গণমাধ্যম প্রথমেই আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কখনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় আবার কখনও দেয়া যায় না। এ সীমাবদ্ধতার কথা তারাও জানে। তবে চেষ্টা ও আন্তরিকতা থাকলেই তারা খুশি। প্রয়োজনে উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে সাংবাদিকের সাক্ষাতকারের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং সাক্ষাতকারের সময় আইএসপিআর প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে উভয়কে সহায়তা করতে পারেন। পেশাগত সহযোগিতা : একটি সংবাদের গুরুত্ব সাংবাদিকের কাছে সবসময়ই বেশি। একটি সংবাদ বা তথ্য দিয়ে সাংবাদিককে চমৎকারভাবে আপ্যায়ন করা যায়। গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে তাকে যথাসময়ে সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পেশাগত কাজে সহযোগিতা করা। জনসংযোগ কর্মকর্তাকে বুঝতে হবে কোন সংবাদ পাঠকপ্রিয়তা পাবে আর কোন সংবাদ পাঠকপ্রিয়তা পাবে না। গণমাধ্যম স্বাধীন তবে গণমাধ্যম থেকে স্বাধীনতা নয় : গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যম স্বাধীন। তাই বলে গণমাধ্যমের কাছ থেকে কোন স্বাধীনতা পাওয়া যাবে না। তাদের চাহিদামতো তথ্য দিতে হবে। তাদের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। গণমাধ্যমের কাছে জবাবদিহিতা মানে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করা। এ জন্য মিডিয়া ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে এবং প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্য উপস্থাপনার কৌশল-শিল্প আয়ত্তে আনতে হবে। মিডিয়া ম্যানিপুলেট করা যাবে না : গণমাধ্যমকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাছাড়া এড়িয়ে চলার মনোভাব ভাল ফল বয়ে আনে না। এভাবে কোন ব্যর্থতাকে ঢাকা যায় না। অসততা ও সন্দেহপূর্ণ আচরণ আস্থা এবং বিশ^াস নষ্ট করে। সত্য লুকানোর জন্য জনসংযোগ নয় : গণমাধ্যম সবসময়ই ইতিবাচক সংবাদ ছাপাবে এমন নয়। অনেক সময় অপ্রিয় সত্য সংবাদও ছাপাবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান মনে করে নেতিবাচক সংবাদ কিংবা সমালোচনা যাতে প্রকাশ/প্রচার না হয় সে ব্যাপারে কাজ করবে জনসংযোগ বিভাগ। জনসংযোগ ভাল কাজের বিকল্প হতে পারে না। জনসংযোগের নীতি হচ্ছে কোন সংবাদ প্রচার/প্রকাশনা বন্ধের জন্য অনুরোধ না করা। তেমনিভাবে কোন সংবাদ প্রকাশ/প্রচারের জন্য চাপাচাপিও না করা। হলুদ সাংবাদিকতা থেকে সাবধান : যারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তারা অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ ছেপে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে। তারা সাংবাদিকতার কোন নীতিমালা মেনে চলে না। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ঊহবসু মিডিয়া থেকে সাবধান : ঊহবসু মিডিয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে। এদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাই ভাল। তারা সবসময় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ/প্রচার করে থাকে। প্রতিরক্ষা স্থাপনায় তাদের আমন্ত্রণ জানান ঠিক নয়। টেলিফোনে সাক্ষাতকার না দেয়া : টেলিফোনে সাক্ষাতকার দেয়া ঠিক নয়। লিখিত সাক্ষাতকার দিতে হবে এবং কপিতে স্বাক্ষর রাখতে হবে। যখন প্রয়োজন নেই তখন বন্ধুত্ব করতে হবে : জনসংযোগ বিভাগ শুধু প্রয়োজনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু বন্ধুত্ব করতে হবে তাদের যখন প্রয়োজন হবে না তখন। বন্ধুত্ব করা হলো জনসংযোগের শিল্প বা আর্ট। সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত করা এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারের প্রয়োজন নেই এমন তথ্য প্রদান সাংবাদিকদের কাছে সবসময়ই প্রশংসাযোগ্য। যোগাযোগ করা যেতে পারে রিপোর্টার, চিফ রিপোর্টার, ডিফেন্স রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক পর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে। কখনও কখনও সম্পাদক ও উপ-সম্পাদকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। যথাসময়ে সংবাদ সরবরাহ : যথাসময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। কেননা গণমাধ্যম চলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তাদের কাজ করতে হয় নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের মধ্যে। সাংবাদিকরা সবসময়ই পছন্দ করেন যথাসময়ে প্রেরিত উপযুক্ত ফর্ম ও আকারে লিখিত এবং যথাযথ তথ্যসমৃদ্ধ সংবাদ। সংবাদ লিখতে হবে উল্টো পিরামিড কাঠামোয়, থাকতে হবে উপযুক্ত শিরোনাম ও সংবাদ সূচনা। বাংলা পত্রিকার জন্য বাংলা এবং ইংরেজী পত্রিকার জন্য ইংরেজী সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠাতে হবে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হয়ত এত লোক নেই যারা অনুবাদ কিংবা পুনঃলিখন করবেন। ছবি পাঠালে ছবির উপযুক্ত ক্যাপশন থাকতে হবে। সততা বজায় রাখতে হবে : খোলামেলা, সত্যবাদিতা ও ভদ্র ব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিকদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। তারা আস্থার মর্যাদা অবশ্যই রক্ষা করবেন। কখনও বলা যাবে নাÑ ঘড় পড়সসবহঃ. নিজের জানা না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে সময় চেয়ে নেয়া যেতে পারে। মিডিয়া হাউস পরিদর্শন : নিয়মিত মিডিয়া হাউস পরিদর্শনে যেতে হবে। তবে আগে কথা বলে সময় ঠিক করে নিতে হবে। হঠাৎ হাজির হলে তারা সময় দিতে নাও পারেন। তারা সবসময় ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় বাইরে থাকেন। সাংবাদিকদের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা : সাংবাদিকদের টেলিফোন ধরার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোন সময় তারা টেলিফোন করতে পারেন। এমন কি রাতেও। মোবাইল ফোন কখনও বন্ধ রাখা যাবে না। উপহার সামগ্রী প্রদানে সাবধানতা : খুব দামী ও অস্বাভাবিক কোন উপহার সামগ্রী প্রদান থেকে বিরত থকতে হবে। তবে ছোটখাটো উপহার সামগ্রী সৌজন্য হিসাবে দেয়া যেতে পারে। দামী উপহার অথবা ফাইভ স্টার হোটেলে আপ্যায়নয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। প্রকাশনা, ডায়রি, ক্যালেন্ডার, সুভেনির ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। তবে সাংবাদিকদের আপ্যায়নে নিমন্ত্রণ করা যাবে যদি সেখানে পেশাগত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের সুযোগ : জনসংযোগ কর্মকর্তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের সুযোগ থাকতে হবে। জনসংযোগের কার্যকারিতা অনেকাংশে নির্ভর করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার সুযোগের ওপর। নতুবা জনসংযোগ কাজ সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে যাবে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, সুনাম নষ্ট হবে যার পুনরুদ্ধার হয়ত আর সম্ভব হবে না। জনসংযোগ এমেচারদের কাজ নয় : জনসংযোগ কোন নবীসের কাজ নয়। জনসংযোগ কর্মকর্তার থাকতে হবে উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা, যোগাযোগ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। তা না হলে প্রতিষ্ঠান ও পেশা দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য লোক নিয়োগের সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। জ-অ-ঈ-ঊ ঋড়ৎসঁষধ : জনসংযোগ হচ্ছে একটা পদ্ধতি এবং এটা একটি বিজ্ঞান। এখানে থাকতে হবে গবেষণা (জবংবধৎপয), কার্য (অপঃরড়হ), যোগাযোগ (ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ) ও মূল্যায়ন (ঊাধষঁধঃরড়হ)। যে কাজ জনগণ পছন্দ করে তা বেশি বেশি করতে হবে এবং যে কাজ অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। জনসংযোগ হচ্ছে ৯০ ভাগ কাজ করা এবং ১০ ভাগ হচ্ছে তা প্রচার করা। ঘরোয়া সাময়িকী প্রকাশ : ঘরোয়া সাময়িকী জনসংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল পাবলিকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীজনের সম্পর্ক নিবিড় হয়। বিনম্র প্রতিবাদ লিপি : পারতপক্ষে রিজয়ন্ডার না দিয়ে পারলেই ভাল। গণমাধ্যম রিজয়ন্ডার পছন্দ করে না। তবে একান্তই যদি দিতে হয় তার ভাষা হতে হবে মার্জিত ও সুনির্দিষ্ট। সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করে কিছু লেখাও ঠিক নয়। সংবাদ সম্মেলন : গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা যেতে পারে। এর ফলে ভাল কভারেজ পাওয়া যায় এবং সংবাদে বৈচিত্র্য আসে। সাংবাদিকরা যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে সংবাদ লিখবেন, ছবি ছাপাবেন ইত্যাদি। সাংবাদিকরা নিজের পত্রিকার নীতিমালা অনুযায়ী প্রশ্ন করে তথ্য জেনে নেবেন ও সংবাদ লিখবেন। যা সাধারণত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে থাকে না। সংবাদ বিজ্ঞতিতে স্বকীয়তা থাকে না। সব পত্রিকার সংবাদ একই রকম হয়ে যায়। সেমিনার, সিম্পজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন : সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, সিম্পজিয়াম, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করা য়েতে পারে। পরিচালিত সফর : সাংবাদিকদের জন্য মঁরফবফ ঃড়ঁৎ অথবা পরিচালিত সফরের আয়োজন করা যেতে পারে। এ সময় তাদের থাকা, খওয়া, যাতায়াত ইত্যাদির সুব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে ভাল ও বিস্তারিত মিডিয়া কভারেজ পাওয়া যায় এবং সম্পর্ক উন্নত হয়। প্রশিক্ষণ : সাংবাদিকদের জন্য প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতার ওপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। একইভাবে জনসংযোগকর্মীর জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতে হবে। পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হওয়া : পেশাজীবী সংগঠন যেমন- জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ইত্যাদির সদস্য হতে হবে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সকলের দায়িত্ব : কোন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার দায়িত্ব শুধু জনসংযোগ বিভাগের নয় বরং প্রতিষ্ঠানের সকলের। তাছাড়া জনসংযোগ বিভাগ রাতারাতি কোন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে দিতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন সময় ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা। যেসব তথ্য সরবরাহ করা যাবে না : মনে রাখতে হবে কিছু কিছু তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করা যাবে না। এগুলো হলোÑ দেশের নিরাপত্তা, অখ-তা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হয় এমন তথ্য; বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন তথ্য; আইন প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে কিংবা অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত করে এমন তথ্য; জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে বা বিচারাধীন কোন বিষয়ে কোন তথ্য বা মন্তব্য, জনস্বার্থবিরোধী তথ্য, ক্লাসিফায়েড তথ্য এবং সরকারী ক্রয়-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করা যাবে না। লেখক : সহকারী পরিচালক আইএসপিআর
×