ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউর স্টেমসেল থেরাপি-লিভার সিরোসিস রোগীদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বিএসএমএমইউর স্টেমসেল থেরাপি-লিভার সিরোসিস রোগীদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে

লিভার অকার্যকর ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্তসহ বিভিন্ন রোগীকে সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রদত্ত স্টেম সেল থেরাপি। হেমাটোলজি বিভাগ, হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্টেম সেল থেরাপি লিভার সিরোসিস ছাড়াও ত্বকের ঘা, স্পাইনাল কর্ডে ইনজুরি, ডায়াবেটিস, হার্ট অকার্যকর, চোখের রোগসহ বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা হয়। বিএসএমএমইউতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ৩৭ রোগীর দেহে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করে ৩৪ জনের ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ওই সকল রোগীর লিভারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং অকার্যকর লিভার কাজ করতে শুরু করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর চিকিৎসা বিষয়ক আবিষ্কার ও সফলতা এটি। লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের দেহে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন দিয়ে স্টেমসেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। রক্ত থেকে স্টেমসেল আলাদা করে পরবর্তীতে রোগীকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে তার লিভারে অটোলোগাস পদ্ধতিতে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। বিএসএমএমইউর শহীদ ডাঃ মিলন হলে মঙ্গলবার দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টেমসেল এ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনে জাপান, ইরান ও ভারতের পাঁজন বিশেষজ্ঞসহ অর্ধশতাধিক দেশীয় বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। বাংলাদেশ স্টেমসেল এ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি ও বিএসএমএমইউর হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মাসুদা বেগমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের এ্যাম্বাসেডর চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ইব্রাহীম সাফি রিজওয়ানি নেজাদ, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অফ ইকোনোমিক্স মিস জিনা ইউকি, জাপানের ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, ইরানের ডাঃ হামিদ রেজা আগায়ান প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ হারিসুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, স্টেমসেল থেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক নতুন আঙ্গিক ও সংযোজন। এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এ পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ রোগীর দেহে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা বিরাট অর্জন। স্টেম সেল থেরাপি ব্যবহার করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেটা এখন আর শুধু স্বপ্ন নয়, এটা এখন এক সুন্দর বাস্তবতা। বাংলাদেশ স্টেমসেল এ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) জানান, স্টেমসেল এ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনন্য সংযোজন। -বিজ্ঞপ্তি
×