ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

উবাচ

তাতে আমার কী স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি চারটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামের নতুন একটি জোট। সে জোট নিয়ে যে যাই বলুক না কেন তা নিয়ে সাধারণের তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই। তবে ব্যতিক্রম কিন্তু বরাবরের মতো একজনই। নতুন জোট নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দেয়া বক্তব্য নিয়ে এবারও চলছে আলোচনা। রাজধানীর গুলশানে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বললেন, ‘১০০ জোট হতে পারে, তাতে আমার কী ?’ বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য-এই চারটি রাজনৈতিক দল ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন একটি জোট গঠন করে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ঝটপট উত্তর। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদ জানান এরশাদ। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। তারপরও রংপুরে আমাদের দলের, প্রার্থীর যে অবস্থান, তাতে আমরা জিতব। আর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এ ব্যাপারে কথা বলব। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন ও এস এম ফয়সাল চিশতী। জোটের নেতাদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্টের নেতা আবদুল মতিন, বিএনএফের সেকান্দার আলী প্রমুখ। বিএনপি ফান্দে, তাই কান্দে স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরাবরই তিনি কবিতার ছন্দে বক্তব্য নিয়ে সকলকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন। হোক তা পরিবহন কিংবা রাজনীতি। যে কোন বিষয়েই মজা করে কথা বলে সাড়া ফেলতে ওস্তাদ যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে অবৈধ সম্পদের খবর বেরিয়ে পড়ায় এখন বিব্রত পুরো বিএনপি। বিএনপির এ অবস্থা বর্ণনা করতে ওবায়দুল কাদের বললেন, আসলে বিএনপি এখন ফান্দে, তাই কান্দে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে সম্পদের খবর বেরিয়ে পড়ায় তা আড়াল করতে বিএনপি নেতারা নানা কথা বলছেন। ঢাকার গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক সমাবেশে সম্প্রতি একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সৌদি আরবে খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের দুর্নীতির খবর বেরিয়ে গেছে, আর সেটা নিয়ে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। কী করে এই দায় এড়াবে ? এই দলের দুর্নীতির ইতিহাস সবাই জানে। দুর্নীতির দুর্গন্ধ আবারও ছড়িয়ে পড়েছে। যতই ময়লা নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন ততই দুর্গন্ধ বাড়বে। ফান্দে পড়ে বগা কান্দে।’ সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্পদ থাকার খবর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন। তার ওই কথার প্রমাণ বিএনপি চাওয়ার পর কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তথ্য প্রমাণ ছাড়া কথা বলেন না। প্রধানমন্ত্রী না জেনে, না বুঝে অন্ধকারে ঢিল ছোড়েননি।’ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১২টি দেশে অর্থ পাঠিয়েছে, এটা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। দুদককে আমি আহ্বান জানিয়েছি। দুদক অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে। শূন্যের ওপর তদন্ত হয় না। দুদককে খোঁজ-খবর নিতে হবে।’ বিএনপির উদ্দেশে কাদের আরও বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলে মায়াকান্না করছেন, গেল রে গেল গণতন্ত্র গেল। আপনাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না। দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষ ফখরুলের ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির খবর বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বেশ বেকায়দায় আছেন দলটির নেতারা। খালেদা জিয়ার সৌদিতে অবৈধ সম্পত্তির বিষয় তদন্ত হলেও দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ না করায় প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো বিশ্বজুড়ে তদন্তও করে ফেলেছেন । যেন তদন্ত শেষ করেই মির্জা ফখরুল তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা পৃথিবীতে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের নামে বিদেশে যে সম্পদের কথা বলা হচ্ছে, সেই ধরনের সম্পদের কোন অস্তিত্বই নেই। এমনকি সৌদি আরবে যে প্রোপার্টির কথা বলা হয়েছে সেই প্রোপার্টিগুলোরও কোন অস্তিত্ব নেই বলে দাবি ফখরুলের। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রচার করছে। হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সৌদিতে খালেদা জিয়ার পরিবারের অবৈধ সম্পদের তদন্তের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে ফখরুল বলেন, আমরা তো পরিষ্কারভাবে বলেছি, তারা (সরকার) প্রমাণ করুক। অনুষ্ঠানে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি শামসুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য আলোচনার খোরাক জুুগিয়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। দু-তিন দিনের মাধ্যেই ফখরুলের বিশ্বজুড়ে তদন্ত করে ফেলার তথ্য ঠাট্টা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই। রাকায়েত নামে একজন লিখেছেন, ‘খুবই হাস্যকর ব্যাপার ! মাত্র দু-তিন দিনেই সারাবিশ্ব খোঁজা হয়ে গেল !!! এটা নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ অবদান...।’ আমির লিখেছেন, ‘সুুইস ব্যাংক, আর সৌদি প্রিন্সদের বাণিজ্য ছাড়া পৃথিবীর সব জায়গায় খোঁজা হয়ছে। এই দুই জায়গায় খুঁজলেই ফখরুল বরখাস্ত। আপনি যদি সম্পদের অস্তিত্ব পান তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনার পদের অস্তিত্ব থাকবে না । নিবর মজা করে লিখেছেন, ‘ফখরুল সাহেবের মনেও বোধহয় সন্দেহ জেগেছিল যে ঘটনা সত্যি কিনা। নয়তো উনি আবার খোঁজ করতে গেলেন কেন ? ডালমে কুছ তো কালা হ্যায়ই !
×