নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৫ নবেম্বর ॥ সরিষাবাড়ী উপজেলায় সৈয়দা আফরিন আক্তার খুশি (২৬) নামের এক গৃহবধূর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তার যৌতুকলোভী স্বামী। লাঠিপেটায় তার দুই হাত, দুই পা, কোমর, বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙ্গেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলা বাজারে ওই গৃহবধূর স্বামীর ভাড়া বাসায় মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে গৃহবধূ সৈয়দা আফরিন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাকে মেঝেতে বিছানা দেয়া হয়েছে। দুপুরে তার শরীরের ভাঙ্গাস্থানগুলো এক্স-রে করা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মম নির্যাতনের শিকার সৈয়দা আফরিনের বাবার বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চুনিয়াপটল গ্রামে। তার বাবা আমজাদ হোসেন জামালপুরের আঞ্চলিক সেটেলমেন্ট দফতরের ভূমি জরিপ কর্মচারী। আমজাদ হোসেন তার মেয়ে সৈয়দা আফরিনকে বারো বছর আগে সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলা বাজার এলাকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর মিস্ত্রি আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে আমেনা নার্সারি শ্রেণীতে পড়ে। ছোটোটার বয়স এক বছর। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আনোয়ার হোসেন বুলু তার স্ত্রীকে মাঝেমধ্যেই কারণে-অকারণে নির্যাতন করত। এর আগেও তিনবার সৈয়দা আফরিনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছিলেন।