ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেএফএ কাপের ফাইনালে ঠাকুরগাঁও-ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৭

জেএফএ কাপের ফাইনালে ঠাকুরগাঁও-ময়মনসিংহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জেএফএ অনুর্ধ-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ঠাকুরগাঁও ও ময়মনসিংহ জেলা দল। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে টাঙ্গাইল জেলাকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ঠাকুরগাঁও। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। দিনের অপর সেমিফাইনালে রাজশাহী জেলাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জেলা দল। শুক্রবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঠাকুরগাঁও জেলার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে টাঙ্গাইল জেলা। অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ঠাকুরগাঁও। ম্যাচের ৩ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের কল্পনা গোল করে এগিয়ে নেয় দলকে। তার গোলে ভর করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্রামে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়েরা। বিরতির পরপরই ম্যাচে সমতা ফেরায় টাঙ্গাইল। ৪৪ মিনিটে টাঙ্গাইলের ইলা মনি গোল করে দলকে লড়াইয়ে ফেরায়। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় টাঙ্গাইলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ঠাকুরগাঁও। এদিকে অপর সেমিতে রাজশাহীর বিপক্ষে বেশ প্রভাব বিস্তার করে খেলে ময়মনসিংহ। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করে ময়মনসিংহের রনি আক্তার। ম্যাচের ১১, ২৩ ও ৬৮ মিনিটে গোল তিনটি করে সে। ২৬ মিনিটে অপর গোলটি করে সালমা আক্তার। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঠাকুরগাঁও ও ময়মনসিংহ। চূড়ান্তপর্বে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে ময়মনসিংহ, ২৫টি। কোন গোল হজম করেনি তারা। ময়মনসিংহ এবং ঠাকুরগাঁও এখনও অপরাজিত আছে। সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছে মানিকগঞ্জ, ১৮টি। এই টুর্নামেন্টর চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার ও রানার্সআপ দল ২৫ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পাবে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা ৫ হাজার টাকা করে পাবে। এছাড়া পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলরক্ষক, সেরা রক্ষণভাগ, সেরা মিডফিল্ড ও সেরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে হোম এ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। বাছাইপর্বের ছয়টি ভেন্যুর ছয় চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা দুই রানার্সআপ দলসহ মোট আটটি দল চূড়ান্তপর্বে অংশ নেয়। সেখান থেকে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে চারটি দল। বিদায় নেয় অপর চারটি দল। সেমিফাইনাল থেকে শক্তিমত্তা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ফাইনালে ওঠে দুটি দল। বিদায় নেয় অপর দুটি দল। চূড়ান্তপর্বের ‘ক’ গ্রুপে ছিল ঠাকুরগাঁও জেলা, রাজশাহী জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা ও রাজবাড়ী জেলা। ‘খ’ গ্রুপে ছিল ময়মনসিংহ জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, কুমিল্লা জেলা ও সাতক্ষীরা জেলা।
×