ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

খরচ কম ॥ উৎপাদন বিঘায় ৫ মণ বেশি

ব্রি-৭১ চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষক

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৬ নভেম্বর ২০১৭

ব্রি-৭১ চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষক

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ সম্প্রতি উদ্ভাবিত নতুন ব্রি-৭১ জাতের ধানের পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা মিলেছে রাজশাহীতে। চাষ ছাড়াই উচ্চফলনশীল এ জাতের ধান চাষ করে একদিকে খরচ কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে উৎপাদন। বিঘাপ্রতি চাষাবাদের খরচ তিন হাজার টাকা করে কমলেও উৎপাদন বেড়েছে বিঘায় ৫ মণ। ফলে এ জাতের ধান নিয়ে আশার আলো দেখছেন কৃষক ও কৃষিবিদরা। কৃষি বিভাগ জানায়, ব্রি-৭১ জাতের এ ধানের জাতটিও আমন মৌসুমে চাষাবাদের উপযোগী। এটি একটি খরা সহনশীল জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২৮ দিন বৃষ্টি না হলেও ফলনের তেমন ক্ষতি হয় না। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টরে পাঁচ-ছয় টন ফলন দিতে সক্ষম। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবারই প্রথম পরীক্ষামুলক ব্রি ধান-৭১ জাতের চাষ হয়েছে। জেলার পবা উপজেলার বামনশিকড় এলাকায় এ নিয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ধান কাটার পর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্রি-৩৯ ও ব্রি-৭১ জাতের ধানের সঙ্গে তুলনা করে জানান, এবার ব্রি-৩৯ প্রতি বিঘায় হয়েছে সাড়ে ১৩ মণ। আর নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-৭১ প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ১৯ মণ। জলবায়ু পরিবর্তনে ও খরা সহিষ্ণু এ ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কৃষক ও কৃষিবিদরা। রক্ষণশীল কৃষি ব্যবস্থাপনায় পাটের জমিতে আমন ধানের বীজ বপনের মাধ্যমে রিলে পদ্ধতির চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রি-রাজশাহীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত ধান বিজ্ঞানী ও ব্রির পরিচালক (গবেষণা), ড. তমাল লতা আদিত্য। রাজশাহী জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনজুরুল হক বলেন, এবার জেলার তানোর, গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলক ব্রি-৭১ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এখনও সম্পূর্ণ উৎপাদনের ফল পাওয়া যায়নি। তবে মাঠ পরিদর্শনের পর ধারণা করা হচ্ছে আশাতীত ফলন হবে। ঠাকুরগাঁওয়ে ব্রি-৭৫ নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, আমন আবাদ মৌসুমে খরাসহিষ্ণু ব্রি ধান-৭৫ চাষে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় ওই জাতের ধান আবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো আবাদকৃত ওই ধানের প্রদর্শনী প্লট যেখানে একপাশে পাকা ধানের ক্ষেত অন্যপাশে কাঁচাধান দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য কৃষক সেখানে ভিড় করছেন এবং এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রদর্শনী প্লটের মালিক কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, তিনি এই ধান আবাদ করে ১০৬ দিনে ফলন পেয়েছেন।
×