ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

মিডিয়ায় সত্য মিথ্যা ॥ পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

মিডিয়ায় সত্য মিথ্যা ॥ পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা

গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে যোগ দিয়েছিলাম ক’দিন আগে। যোগ দেয়া মানে শ্রোতার সারিতে বসে। সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘রাজনীতিতে সত্য মিথ্যা : পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা।’ সেমিনারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যখন বক্তাগণ বলছিলেন, রাজনীতিতে মিথ্যার বেসাতি কতখানি ক্ষতি করতে পারে তার প্রমাণ হলো বিশ্বব্যাংক ‘দুর্নীতির একটি মিথ্যা অভিযোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। থ্যাংক গড যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন এবং পিতার মতোই তাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করেন, ‘সো-হোয়াট, আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু বানাবো।’ সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি যখন বললেন, ‘যে যত বড় দেশ বা শক্তি হোক, আমাদের ভয় পাবার কিছু নেই, নিজেকে সমান সমান ভাবতে হবে। কেনইবা পাত্তা দেব? পদ্মা সেতুও আজ আর কেবলই স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আমাদের মেধা আছে, আমরা পারি।’ এ উচ্চারণ আমাদের অত্যন্ত পরিচিত- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না’ বা ‘সো-হোয়াট, উই উইল বিল্ড ইট অন আওয়ার ওউন মানি।’ এ এক কালজয়ী ধারাবাহিকতা। জয় যখন বলেন, ‘আমাদের মেধা আছে, আমরা পারি’ তখন ১৬ কোটি মানুষ তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টাকে আবিষ্কার করে। আমাদের ভয় কি? আমার আজকের লেখাটির শিরোনামও দিয়েছি গুলশানের হোটেলের শিরোনাম থেকে। তবে পুরোটা নয়। সেমিনারের শিরোনামের প্রথম ‘রাজনীতি’ শব্দটি পাল্টে ‘মিডিয়া’ শব্দ ব্যবহার করে শিরোনাম দিয়েছি। মিডিয়ার কর্মী হিসেবে খবরের সত্য-মিথ্যা, বিশেষ করে মিথ্যা খবরে যে কত বড় ক্ষতি হতে পারে তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে আমাদের সমাজেই। একটা মিথ্যা খবরের ওপর ভিত্তি করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণও তো অনিশ্চিত হয়ে পড়ার মতো হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রনেতা বলেই আজ উত্তাল পদ্মার ওপর বিশাল পদ্মা সেতুর কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে, প্রধান স্প্যানটি বসানোর পর যে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য ভেসে বেড়াচ্ছে তার তুলনা খুব কমই আছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. ফরাস উদ্দিন সেমিনারে বললেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে আমাদের জিডিপি অন্তত আরও দেড় শতাংশ বেড়ে ৯% ছাড়িয়ে যাবে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বললেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়ে ভেবেছিল আমাদের মতো দেশে এত বড় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন অসাধ্য সাধন। তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেনও যা বিশ্বব্যাংকের প্রতি চপেটাঘাত। সেমিনারটি আয়োজন করে ‘সুচিন্তা ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন টক-শো ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক এ. আরাফাত সেমিনারের বিষয়বস্তুর ওপর আলোকপাত করে সূচনা বক্তব্যে বলেন, মিথ্যা মিথ্যাই। রাজনীতিতে যখন মিথ্যা সামনে নিয়ে আসা হয়, তখন পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা আমাদের পথ দেখায়। ভবিষ্যতেও দেখাবে। দুর্নীতির কথা বলে কি এক অশনি বার্তা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল বিশ্বব্যাংক। অন্তিমে মিথ্যা মিথ্যাই। আমাদের দেশের আদালতে নয়, উন্মত দেশ কানাডার আদালতেই প্রমাণিত হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি। অথচ দুর্নীতির লেবেল লাগিয়ে তৎকালীন যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রীর পদ ছাড়তে হলো। একজন অত্যন্ত চৌকস সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঞাকে পদ তো ছাড়তেই হলো, পরন্তু জেলও খাটতে হয়েছে। এই দুই ভদ্রলোককে সামাজিকভাবে যে হয়রানি, অপমান-অসম্মান করা হলো তার প্রতিকার কি? কেবল একটি মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে দু’জন ভদ্রলোককে সমাজের কাছে হেয় করা হলো। এখন যতই বলা হোক তারা নির্দোষ এবং আদালত যতই রায় দিন তাতে কি তাদের ক্ষতিপূরণ হবে? সামাজিকভাবে হেয় করার পেছনে বিশ্বব্যাংক যতখানি না দায়ী তারচে’ কম দায়ী নয় মিডিয়া। সেই দিনগুলোতে মাই গড কিছু মিডিয়া তো এত উল্লসিত হয়েছিল যে, মনে হচ্ছিল ‘এবার পেয়েছি’! অথচ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি তদন্তের জন্য যে ভদ্রলোককে পাঠিয়েছিল তার নাম ‘ওকাম্পো’। নিয়তির বিচার দেখুন প্রিয় পাঠক, সেই ওকাম্পো ভদ্রলোকের দুর্নীতিরই বিচার চলছে বিদেশে। সাজা তার হবেই। তাছাড়া সাজা হলেই কি সৈয়দ আবুল হোসেন বা মোশাররফ হোসেন ভূঞার অপমান মুছে যাবে? কেবল তাদের দু’জনেরই অপমান নয়, অপমানটা করা হলো জাতি হিসেবে আমাদের, বাঙালী জাতির ৩০ লাখ শহীদ এবং ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রম ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে অর্জিত সার্বভৌম বাংলাদেশেরও। সর্বোপরি এ মুহূর্তের রাষ্ট্রনেতা, ‘যিনি মাদার অব হিউম্যানিটি’; ‘স্টার অব দ্য ইন্ট’ দেশরত্ন শেখ হাসিনার। কেননা, শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯- অদ্যাবধি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় তুলে এনে এগিয়ে চলেছেন, টার্গেটের আগেই মধ্যম আয়ের থেকে উন্নত বাংলাদেশের সিঁড়িতে পা রাখতে যাচ্ছেন এবং বিশ্বব্যাপী যেভাবে অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তাতে করে বিশ্বমোড়ল এবং এ অঞ্চলে তাদের বশংবদ চামচা আইএসআই, জামায়াত-শিবির ও জামায়াত শ্রয়ী বিএনপি এবং উগ্র দক্ষিণপন্থীদের সামনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। তাই তারা ষড়যন্ত্রের পথ ধরেছে। এই তো ২০১৩-১৪ সালে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে এবং ২০১৩-র ৫ মে শাপলা চত্বর থেকে জ্বালাও-পোড়াও করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করেও যখন দেখল ব্যর্থ, তখন তাদের প্রভু বিশ্বব্যাংককে দিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে ব্যর্থ হলো। ব্যর্থতার এ মিছিল থেকে এখন ষড়যন্ত্রের চোরাগলি ধরেছে। সরকারের গায়ে দুর্নীতির একটা লেবেল যদি লাগানো যায়! তাতেও কোন কাজ হলো না। ওকাম্পো নিজেই ধরা খেয়ে গেল। মূলত মিলিটারি জিয়া-খালেদা প্রথম থেকেই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। যেমন- প্রথমে জিয়াকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ বানিয়ে চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড় করাতে, জনগণ সায় দিল না। চেষ্টা করল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বানিয়ে গণতন্ত্রের লেবাস পরাতে, সাফারী স্যুট আর শিপনের আড়ালে তা হারিয়ে গেল। বরং জাতি দেখেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে মিলিটারি জিয়া যুদ্ধাপরাধী পলাতক গোলাম আযমকে দেশে আনলেন, নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির, মুসলিম লীগ তথা একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের রাজনীতিতে জায়গা করে দিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে কারফিউ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা, নির্বাচন অনুষ্ঠান সবই করলেন। জিয়ার পরিণতি করুণ হলো। তাতেও তাদের শিক্ষা হলো না। স্বশিক্ষিত (অর্থাৎ হাফ লেখাপড়া) খালেদা জিয়াকে এনে ম্যাডাম বানানো হলো, তিনি কিন্তু ম্যাডাম হয়েই রইলেন, জনমনে স্থান পেলেন না। আপোসহীন বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হলো, মানুষ বিভ্রান্ত হলো না। বরং তিনি নিজেই বিভ্রান্ত হলেন, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলেন। জাতির পিতার শাহাদাত দিবস ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন বানিয়ে কেক কাটলেন, মানুষ ধিক্কার দিতে লাগল। চিকিৎসার কথা বলে লন্ডনে গিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারেক রহমানের সঙ্গে কি ষড়যন্ত্র করলেন কে জানে। বাজারে গুঞ্জন হলো এ সুযোগে লন্ডন ষড়যন্ত্র করে এসেছেন। শোনা যায়, পলাতক ফাঁসির আসামিদের (১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী) সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কথায় কথায় বলেন, যত উন্নয়ন হয়েছে সবই হয়েছে বিএনপির আমলে। যদি প্রশ্ন করা হয় আপনাদের উন্নয়নের অন্তত একটি নিদর্শন দেখান, উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্য যে, জিয়া, সাত্তার, খালেদা এদের কারও আমলেই দেখার মতো একটি প্রকল্পও গ্রহণ, বাস্তবায়ন হয়নি। সবই ফাঁকা বুলি। আওয়ামী লীগ যা করে তার অনুকরণ করেও হাসির পাত্র হতে হচ্ছে। ভারতের ডাকসাইটে আইসিএস ও কবি এবং বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভক্ত অন্নদা শংকর রায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি কবিতা লেখেন ‘যতকাল রবে পদ্মা-যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে র্কীতি তোমার/শেখ মুজিবুর রহমান’। এই কবিতাটি বাংলাদেশে বহুল পঠিত ও আলোচিত। বছর দশেক হবে, আসাদগেট হতে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে আসছিলাম। দেখলাম মানিক মিয়া এভিনিউর মাথায় মোহাম্মদপুর অংশে একটি দেয়াল লিখন হলো ‘যতকাল রবে পদ্মা-যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার/জিয়াউর রহমান..’। তার কিছুদিন পর আবার ওই পথ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম বেরসিকরা এনিমেল বর্জ্য ছিটিয়ে লেখাটা ঢেকে দিয়েছে। ক’দিন আগে আমার এক বন্ধু বলল, ‘ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে একটা ব্যানার ও বেশ ক’টি পোস্টার দেয়ালে লাগানো হয়েছে, যাতে লেখা হয়েছে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি ম্যাডাম খালেদা জিয়া’। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার মানবিক মূল্যবোধের যে পরিচয় বিশ্ববাসী পেয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে তার সাহসের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ মিডিয়া তাকে বলেছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা’। কাজেই ছন্দ মিলিয়ে তার কাউন্টার দিল ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ এটা কি হলো? তাতেও যদি মন না ভরে তবে জিয়া-খালেদা দু’জনের নামের শেষে ‘শেখ’ লাগিয়ে দেখতে পারেন মানুষ কীভাবে নেয়? ভালভাবে নেবে বলে মনে হয় না। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত ‘খালিজ টাইমস’ শেখ হাসিনাকে ‘স্টার অব দ্য ইস্ট’ উপাধিতে ভূষিত করল। এবার তো ধরা, কি দিয়ে কাউন্টার করবে? একটা রাস্তা আছে ‘মুন অব দ্য ওয়েন্ট’ লাগাতে পারেন। অন্তত লাগিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন লাগে কিনা! অথচ এই দুইজনকে নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি অংশ প্রত্যেক দিন প্রথম পাতায় লাইফ সাইজ ছবি ও রিপোর্টে ছেপে দেয়, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবশ্যই। এতে করে ওই সব মিডিয়া জাতি ও রাষ্ট্রের যে ক্ষতি করে চলেছে তাতে তারা এতই অজ্ঞ যে, বোঝে না। অথচ অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কালে এক নির্যাতিত নারীর বীরত্ব এবং করুণ কাহিনী বর্ণনা করে বলেন, ঝালকাঠির এক যৈবতি নারীর নাম ‘ভাগিরতি’। এক রাজাকার তাকে পাকিস্তানী বর্বর আর্মির হাতে তুলে দেয়। পাকিরা তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। ভাগিরতি যখন বুঝতে পারে সে এই বিবর থেকে বেরোতে পারবে না তখন সে কৌশলে ওদের আস্থা অর্জন করে এবং গ্রামে এক বাড়িতে মুক্তি আছে বলে ৭/৮ পাকি আর্মিকে নিয়ে যায়। সেখানে আগেই মুক্তিযোদ্ধারা ওঁৎ পেতে ছিল এবং সব কয়টা আর্মিকে মেরে ফেলে। মেয়েটি পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারে না। রাজাকারের কারণে আবারও ধরা পড়ে এবং পাকিস্তানীরা দুটি গাড়িতে তার হাত-পা বেঁধে দুইদিকে চালিয়ে তার দেহটিকে খন্ড-বিখন্ড- করে দেয়। ইমদাদুল হক মিলন সেই রাজাকারের নামও প্রকাশ করেন- দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী। অথচ বাংলাদেশের এক শ্রেণীর সংবাদপত্র তাকে চাঁদে বসে আছেন বলে তার মুখ সুপার ইমপোজ করে দেখায় কিংবা পবিত্র কাবা শরীফের গিলাপ পাল্টানের দৃশ্যকে ‘সাঈদীর মুক্তির দাবিতে খতিবদের মানববন্ধন’ বলে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই মিথ্যার বেসাতিতে ঐদিনই বগুড়ায় অনেক প্রাণহানি ঘটেছিল। কিন্তু আমাদের সিভিল সোসাইটির সদস্যরা (জ্ঞানপাপী এবং রাজাকারপন্থী) কোন মন্তব্য করেননি। অধ্যাপক এ আরাফাত এদের নাম দিয়েছেন ‘ইভিল সোসাইটির সদস্য’। সর্বশেষ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, ‘আমরা কারো চেয়ে কম নই, সমানে সমান। আমাদের মেধা আছে, আমরা পারি এবং আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। চক্রান্ত করেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হবে, সম্মান দিতে হবে।’ ঢাকা ॥ ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×