ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

বর্ণাঢ্য ইতিহাস ধারণ করে ৬৪ বর্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

বর্ণাঢ্য ইতিহাস ধারণ করে ৬৪ বর্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব

আসছে ২০ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই সুদীর্ঘ সময়ে নানান ঘাত-প্রতিঘাতেও শক্ত মেরুদন্ডের ওপর দাঁড়িয়ে ৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য ইতিহাস রচনা করে আমাদের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান ৬৪ বছরের পথচলা শুরু করতে যাচ্ছে। এই সুযোগে আমি সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং প্রয়াত সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আনন্দের এবং বিগত বছরগুলোর আনন্দ-বেদনা ভাগ করে সামনের বছরের সদর্প পথচলার শপথ নেয়া এবং রুটিন কর্মসূচীর পাশাপাশি আলোকসজ্জা আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করা ছিল আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু এবার মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গণহত্যা ও এথনিক ক্লিনজিং থেকে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আমাদের ভূখন্ডে আশ্রয় নিয়েছে এবং এখনও প্রতিদিন অন্তত দু’হাজার করে আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ এক মানবিক বিপর্যয়, বলেছেন প্রয়োজনে আমরা ভাগ করে খাব। জাতীয় প্রেসক্লাবও একটি ভাগ রোহিঙ্গাদের দেয়ার জন্য আলোকসজ্জা-কালচারাল অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি, সকল সদস্য আমাদের সঙ্গে আছেন। নতুন বছর নতুন স্বপ্ন। ১৮ নম্বর তোপখানা রোডের দোতলা লাল দালান থেকে বৃহত্তর পরিসরে আড়াইতলা সাদা দালান; না, এখানেই থেমে থাকা নয়। আজ আমরা স্বপ্ন দেখছি ৩১ তলা আধুনিক বিশাল ভবনের। যেখানে থাকবে মিডিয়া জগতের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। স্বপ্নটি দেখিয়েছেন আমাদের স্বপ্নপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সত্যি, এটি আমাদের জন্য স্বপ্নই। আমরা তো স্বপ্ন দেখেছিলাম বর্তমান ভবনের ওপর আরও কয়েকটি তলার। জায়গার সংকুলান হচ্ছিল না। বিগত রমজানের আগের রমজানে প্রধানমন্ত্রী প্রেসক্লাবে এসেছিলেন ইফতার পার্টিতে। তাকে স্বাগত জানিয়ে এবং আমাদের সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বর্তমান ভবনের ওপর আরও সাত-আট তলা নির্মাণে আমি তার সহযোগিতা কামনা করি। বলেছিলাম, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জমিটি দিয়ে যান, আপনি তার প্রিয়কন্যা হিসেবেই শুধু নন, সাংবাদিকবান্ধব তথা সময়ের সবচে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা হিসেবে আমাদের একটি আধুনিক প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণ করে দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ৩১ তলা আধুনিক প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেন। আমরা নাম দিয়েছি জাতীয় প্রেসক্লাব ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স’। ১৮ তোপখানা রোডের জমিটির ওপর অনেকের লোলুপ দৃষ্টি ছিল- একবার প্রতিষ্ঠাকালীন ১৯৫৪ সালে এবং আরেকবার স্বাধীনতার পর ’৭৩-৭৪-এর দিকে। প্রথমবার বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী হিসেবে এবং দ্বিতীয়বার জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে এই জমিতে হাত বাড়াতে দেননি। কিন্তু ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর মিলিটারি জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আমন্ত্রিত হয়ে প্রেসক্লাবে আসেন এবং একটি আটতলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে দুই ইটা বসিয়ে ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। তিনি প্রিন্স করিম আগা খানের দেয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন গড়হবু রং হড় ঢ়ৎড়নষবস. জাতীয় প্রেসক্লাব ভবন হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থে। তখন ক্লাবের দখলে জমি ছিল ৩ একর (দক্ষিণ পাশের ট্রান্সপোর্ট পুলসহ)। এই তিন একর জমি প্রতিষ্ঠাকালে তৎকালীন ঢাকার কমিশনার এনএম খান বরাদ্দ দিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রেসক্লাবে এলে তার কাছে দাবি জানানো হলে তিনি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এভাবে তার দেয়া ২৪ লাখ টাকা দিয়ে বর্তমান ভবনের কাজ শুরু হয়। বিচারপতি সাত্তারের পর আসেন আরেক মিলিটারি জেনারেল প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি তৎকালীন পূর্ত মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিয়ে সরকারী অর্থে বর্তমান দোতলা ভবন নির্মাণ করে দেন। ভবন তো নির্মাণ করে দিলেন; কিন্তু তার আমলেই দক্ষিণ দিক থেকে (পুকুর) এক একর নিয়ে গেলেন এবং তাতে সরকারী পরিবহন পুল নির্মাণ করেন। লোলুপ দৃষ্টি এখনও রয়েছে। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কোন কুদৃষ্টিই সফল হচ্ছে না, হবে না। প্রেসক্লাবের জমির পরিমাণ এখন দুই একর এবং এই দুই একরের ওপরই ৩১ তলা ভবন নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এখন কাজ এগিয়ে চলেছে। এত বিশাল কমপ্লেক্স, সার্বিক প্রস্তুতির জন্য সময়ের দরকার। প্রস্তুতিপর্বে দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে না পড়লেও অদৃশ্যমান অগ্রযাত্রা কম নয়। ৩১ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলে প্রথমেই বাইরের মিলনায়তন ভাঙ্গা পড়বে এবং মিলনায়তনের সামনের চত্বরেও কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। ক্লাবের আয়ের উৎস হলো ওই মিলনায়তন এবং দুটি লাউঞ্জ। এই আয় বন্ধ হয়ে যাবে তাই অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান ভবন সম্প্রসারণ করা দরকার এবং যেহেতু ২০১৪-১৫ সালের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যুদ্ধাপরাধী চক্রের সমর্থকদের অচলায়তন ভেঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক গঠনতান্ত্রিক পথে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রায় সাড়ে ৬শ’ নতুন সদস্য করি সেহেতু সিটিং এ্যারেঞ্জমেন্টসহ সার্বিকভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই প্রথমেই গ্রাউন্ড ফ্লোরের লবি, আধুনিকায়নের সঙ্গে গার্ডেন ছাতা চেয়ার এবং টিনের চালাঘর-চেয়ারের ব্যবস্থা করি। সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইনকাম জেনারেটিং এরিয়া। তাই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী পরিবারের উত্তরাধিকার নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে আমি ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী দেখা করি। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তার দুই হাত খুলে দেন এবং দোতলার কনফারেন্স লাউঞ্জ মেরামত এবং ছাদের ওপর পশ্চিমপ্রান্তে তিনটি পরিত্যক্ত স্ট্রাকচারকে কনফারেন্স হলে রূপান্তর, এসি-চেয়ার-টেবিল দিয়ে সাজিয়ে দেন। ক্যান্টিনের এসি খারাপ হওয়ায় তাতে নতুন এসি দেন এবং বয়োজ্যেষ্ঠ ও শারীরিকভাবে দুর্বলদের জন্য লিফট লাগিয়ে দেন, যা শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে এবং নসরুল হামিদ বিপুকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব উদ্বোধন করার জন্য। আজ ক্লাবের প্রবেশপথ, লবি, বারান্দা, গার্ডেন এবং দোতলার বারান্দা ও চলার পথ ঝকঝক করছে। এসব কাজে কত খরচ হয়েছে জানি না, তবে তিন কোটির কম নয়। এখানে উল্লেখ করা দরকার গ্রাউন্ড ফ্লোরের লবি আধুনিকায়ন এবং বারান্দা, লন ও বাগানে ছাতা, শেড ও টেবিল-চেয়ার দিয়ে ওয়ালটন আমাদের আর্থিক সহায়তা করেছে। আমরা নসরুল হামিদ বিপুর কাছে কৃতজ্ঞ। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকেও আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা ধন্যবাদ জানাই চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাসিরকে। আর্থিক সঙ্কটের সময় তিনি একবার ক্লাবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করে সহযোগিতা করেন। এ জন্য তিনি চট্টগ্রাম থেকে বাবুর্চি এবং মসলাপাতি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তার কাছেও কৃতজ্ঞ। শুরুতে বলেছি ৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে জাতীয় প্রেসক্লাব ৬৪ বছরের স্বপ্নময় পথচলা শুরু করেছে। যারা নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের অতীত গড়েছেন এবং ভবিষ্যতের পথ দেখিয়েছেন তাদের মধ্যে সিনিয়রটি অনুযায়ী মুজিবুর রহমান খাঁ (প্রথম সভাপতি), আবদুস সালাম, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, এবিএম মূসা, শহীদুল হক, আবদুল আউয়াল খান, এনায়েতুল্লাহ খান মিন্টু, আবুল হাসেম, গিয়াস কামাল চৌধুরী, ফজলে রশীদ ও মোজাম্মেল হক আমাদের মাঝে নেই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। জীবিতদের মধ্যে রয়েছেন ১৯তম মেয়াদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসান শাহরিয়ার, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, খোন্দকার মনিরুল আলম, শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ। একটা সময় ছিল যাদের পদচারণা ক্লাবকে মর্যাদা দিয়েছে তাদের মধ্যে প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ, এম আর আখতার মুকুল, নির্মল সেন, সন্তোষগুপ্ত, বজলুর রহমান, সাইয়িদ আতীকুল্লাহর স্মৃতি আমাদের চলার পাথেয়। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এখনও লন্ডন থেকে দেশে এলে মাঝেমধ্যে ক্লাবে আসেন। তোয়াব খানও মাঝেমধ্যে আসেন। জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বাঙালী জাতি গঠন থেকে শুরু করে সকল জাতীয় ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। ভাষার অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, অর্থনৈতিক ও সর্বোপরি গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইয়ে সব সময় ছিল সোচ্চার। পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে সেই লাল দালানের ড্রয়িং রুমে বসতেন তৎকালীন অবজারভার সম্পাদক আবদুস সালাম, ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ও সংবাদ সম্পাদক জহুর হোসেন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও মাঝেমধ্যে আসতেন এবং তিন পথিকৃতের সঙ্গে বসে চা খেতেন, কথাও হতো শুনেছি। তারপর দেখা যেত কোন ইস্যুতে একদিকে পত্রিকায় লেখা হচ্ছে আরেকদিকে বঙ্গবন্ধু ঢাকাসহ দেশব্যাপী বক্তৃতা দিচ্ছেন। যে কারণে মিলিটারি স্বৈরাচারীরা প্রেসক্লাবের ওপর ক্ষ্যাপা ছিল। তাই তো একাত্তরের ২৫ মার্চ গণহত্যার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগের পাশাপাশি প্রেসক্লাবের ওপরও সশস্ত্র হামলা চালায়। প্রয়াত ফয়েজ আহমদ সে রাতে ক্লাবে ছিলেন এবং প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এই প্রেসক্লাব যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ১৯৫৪ সাল এবং বাঙালী প্রথম রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। তাও অল্প ক’দিন। তারপর তো আইয়ুবের মিলিটারি শাসন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ ত্যাগ, নতুন দল গঠন, কমরেড মণি সিং-এর নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্টরা আজ ওভারগ্রাউন্ড তো কাল আন্ডারগ্রাউন্ড। মিলিটারি আইয়ুবের সেন্সরশিপের কালো ছায়া মিডিয়া জগতে। সাংবাদিকরা বিনা প্রতিবাদে যেতে দেয়নি। বাংলা সংবাদপত্রের আদি দৈনিক আজাদের (এখন আর নেই) পথিকৃৎ সম্পাদক মওলানা আকরম খাঁর নেতৃত্বে ১৯৬১ সালে এই প্রেসক্লাব থেকে প্রেস সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে মিছিল হয়েছিল। এখানে একটা কথা বলা দরকার, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও স্বাধীন সংবাদপত্রের জন্য গণতান্ত্রিক সমাজ ও শাসনব্যবস্থা অপরিহার্য। সাংবাদিক সমাজ চিরকালই এর জন্য লড়াই করেছে, এখনও করছে। লড়াই করেছে ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে, লড়াই করেছে মিলিটারি জেনারেল জিয়াউর রহমান ও মিলিটারি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। জাতীয় প্রেসক্লাব ছিল সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। কিন্তু কখনও কোন সেক্টোরিয়াল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। কোন্ সেক্টরের পক্ষে ব্যানার ধরে দাঁড়াবে? ব্যানার তো একটা দুটো নয়, ডজনে ডজনে। তাছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবে যেমন পেশাদার সাংবাদিকরা সদস্য তেমনি সংবাদপত্রের মালিকরাও সদস্য। তাছাড়া অনেক সম্পাদক, মালিক সম্পাদক আছেন যারা কোন সেক্টোরিয়াল গ্রুপের সদস্য নন কিন্তু জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য। কাজেই এর একটা আলাদা স্ট্যাটাস রয়েছে। এ স্ট্যাটাস অক্ষুণ্ন, অবিকৃত রাখার জন্য প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত লড়াই করব, তবু এর মর্যাদাহানি হতে দেব না। আমি বিশ্বাস করি, এ প্রশ্নে সম্মানীয় সদস্যগণ ঐক্যবদ্ধ এবং সঙ্কল্পবদ্ধ। ঢাকা-১৪ অক্টোবর ২০১৭ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ই-মেইল : [email protected]
×