ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ৭ অক্টোবর ২০১৭

এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নেয়া প্রথম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। লাগাতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত জাতীয় ঐক্য পরিষদ নেতারা এ দাবি জানান। নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা জাতীয় মেধাতালিকা ও প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের পাশাপাশি এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সংহতি প্রকাশ করেন গণসংহতি বিপ্লবী দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন। শিক্ষক নিবন্ধনকারী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি দীপক কান্তি রায়, ওবায়দুল ইসলাম ওবায়েদ, রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক মুকুল চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ইউসুফ প্রমুখ। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, পরিষদের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম থেকে-দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিতদের নিয়োগের দাবিতে দেশব্যাপী চলছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচীসহ স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী। আমাদের যৌক্তিক নিয়োগ দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে নিয়োগবঞ্চিতদের জাতীয় মেধাতালিকা করে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করতে হবে। নিজেদের দাবি তুলে ধরে তারা বলেন, যে কোন মূল্যে বর্তমান চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বাতিল করে পূর্বের নিবন্ধিত সার্টিফিকেটধারী নিয়োগবঞ্চিতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক নিবন্ধিত সার্টিফিকেটধারীদের বাংলাদেশের যেকোন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় মেধা তালিকা করে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, উপজেলা কোটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে, ৬০ হাজার জাল সনদধারীকে দুদকের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা ও সকল বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক বা প্রভাষকের শূন্য পদ প্রকাশ করে বৈধ শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিতদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে, সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খ-কালীন ও সৃষ্ট পদ বিলুপ্ত করে অচিরেই বৈধ শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিতদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে, দুর্নীতি করে টাকার বিনিময়ে পিক এ্যান্ড চুজ পদ্ধতিতে এনটিআরসিএ এর নিয়োগ বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে বৈধ শিক্ষক নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিতদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ হয় না। অথচ এনটিআরসিএ থেকে বলা হচ্ছে মেয়াদ ৩ বছর। তাই শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মেয়াদ আজীবন বহাল রাখতে হবে বলেও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
×