ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ দলের সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সম্মানের সঙ্গে অবসরে যাবেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৬ অক্টোবর ২০১৭

সম্মানের সঙ্গে অবসরে যাবেন প্রধান বিচারপতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক সকল দলই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একাদশ নির্বাচনে সরকারের প্রধান রাখার প্রস্তাব করবে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংলাপের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে। সেখানে আমাদের জোটের অংশীদার বিভিন্ন দলও অংশ নেবে। তবে আমাদের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা হলো- নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে। এ প্রস্তাবটি সবাই উত্থাপন করবেন।’ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধান বিচারপতি পদটি অত্যন্ত গৌরবান্বিত ও সম্মানজনক পদ। আমরা প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে সম্মান করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তিনি এ পদে এসে পদটিকে বারবার বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন, এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) একবার গ্রিক মূর্তি স্থাপন করে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনী রায় বাতিল করে এবং পর্যবেক্ষণ দিয়ে গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছেন। আমরা কেউ আশা করিনি যে তিনি এ পদটিকে এভাবে বিতর্কিত করবেন। আজকে তার অসুস্থতা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এটাও অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। তবে এখনও আমরা বিশ্বাস করি তিনি তার সম্মান নিয়ে অবসরে যাবেন। এটা আমরা সবাই চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। এ নির্যাতিত নিপীড়িতরা সসম্মানে তাদের দেশে ফেরত যাবেন। রোহিঙ্গারা আমাদের সাময়িক অতিথি, তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।’ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশ একটি ভয়াবহ সঙ্কট থেকে রক্ষা পেয়েছে। একটি মহল লাগামহীনভাবে উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছিল। অনেক সময় তারা বলপ্রয়োগের কথাও বলেছিল। কিন্তু তা আজকের দুনিয়ায় সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা শান্তির পথে বিশ্বাসী। শান্তির পথে তিনি পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন, ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয় করেছেন। সফল কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যারও সমাধান করবেন। কারও কোন উস্কানিতে কান না দিয়ে শেখ হাসিনা মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে তাদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছেন। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে সারাবিশ্বে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার জাতিসংঘ কর্তৃক মাদার অব হিউম্যানিটি এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তার পদক্ষেপ জাতিসংঘে প্রশংসিত হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশে ফেরার পর তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে, ১৪ দল এতে অংশ নেবে।’ এর আগে মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সালাহউদ্দিন আহমেদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×