ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

কূটনীতিকদের কৌশল তৌহিদুর রহমান ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে বিদেশী কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছিল সরকার। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দু’দফায় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিং শেষে বেশ কয়েকজন কূটনীতিক উপস্থিত সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল নেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ব্রিফিং থেকে বের হওয়ার পরেই নিজ নিজ গাড়িতে ওঠার জন্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলেন। সে কারণে তাদের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে পারছিলেন না। তবে গাড়িতে উঠেই তারা মোবাইল কান থেকে সরিয়ে নেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা বুঝতে পারেন, এসব কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই মোবাইলে কথা বলার কৌশল নিয়েছিলেন। আমি কিসসু জানি না! রুমেল খান ॥ ২২ নবেম্বর, ২০১৪। স্থান : বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়াম। দিনটি ছিলো প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লীগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এক মোস্ট সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমানের পাশে বসা ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ফাহাদকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করলেন, ‘তোমার নাম কি? তুমি কি দাবা খেল?’ ঘটনাক্রমে আমি বসা ছিলাম তার ঠিক সামনের আসনেই। শুনে তো আমি পারলে অজ্ঞান হয়ে যাই! একটু পর যথন দাবাড়ুদের মেডেল ও ট্রফি দেয়া হচ্ছিল, তখন তিনি পাশে বসা আরেকজনকে আরেকটি মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করে বসলেন, ‘আচ্ছা, এত পুরস্কার দেয়া হচ্ছে কেন?’ ব্যাপার দেখে একজন মন্তব্য করলেন, ‘এসব জ্ঞানীদের কেন যে স্পোর্টস ইভেন্ট কভার করতে পাঠানো হয়, বুঝি না!’ এখানেই শেষ নয়। ওই একই সাংবাদিক ইতোপূর্বে আরও কিছু অমর বাণী দিয়েছিলেন, সেগুলোর কয়েকটি হলো : ‘রাকিব কি গ্র্যান্ডমাস্টার?’, ‘৯০ মিনিট খেলা শেষে কি টাইব্রেকার হবে?’, ‘অনুর্ধ-১২ ফুটবলারদের জার্সিগুলো এত ছোট কেন?’, ‘আমার ড্রাইভারের জন্য একটা খাবারের প্যাকেট দিতেই হবে’, ‘আজকে যে খেলা ছিল, আমি জানতামই না’, ‘বর্তমান? এটা আবার কোন পত্রিকা? আচ্ছা, এটা কি দৈনিক?’ ...ইত্যাদি।
×