ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের বিশেষ সভায় আগেই অংশ নেবেন

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা আজ ঢাকা ছাড়ছেন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা আজ ঢাকা ছাড়ছেন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ শনিবার ঢাকা ত্যাগ করবেন। দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন। আবুধাবিতে যাত্রাবিরতি শেষে ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আগামীকাল রবিবার অপরাহ্নে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জনএফ কেনেডী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরাও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে নিউইয়র্কের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ৫২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়ার আগের দিন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজিত এক বিশেষ সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে আলোচনা শেষে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে সই করবেন। একইদিন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে সার্কেল অব লিডারশিপ শীর্ষক বিশেষ সভায় তিনটি দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। অধিবেশনে যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী চুক্তিতে সইয়ের পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উন্নতির চিত্র তুলে ধরবেন। শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং একই দিন তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত জাতিসংঘ সংস্কার বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এবং জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন এ্যান্ড এ্যাবুজ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে কনভেনি কনফারেন্স সেন্টারে ‘গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক এ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের এক ফলোআপ বৈঠকের আগে ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিব প্রদত্ত মধ্যাহ্ন ভোজের যোগ দেবেন। এর আগে তিনি ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের সঙ্গে এক গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওআইসি কনটাক্ট গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে মৌরিতাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জুগনাউথের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও কমনওয়েলথের বর্তমান চেয়ার-ইন অফিস মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেফ মাসকেট আয়োজিত কমনওয়েলথ রাষ্ট্র/সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় ম্যাডিসন এ্যাভিনিউয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত শুভেচ্ছা সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট স্কয়ারে বাংলাদেশী সম্প্রদায় আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউতে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করণের ওপর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে ইউএনএইচকিউতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট মিজ কেরস্তি কালজুলাইদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফাইন্যান্সিং এ্যান্ড মনিটরিং: শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ এবং ট্রাইয়াঙ্গুলার কো-অপারেশন’ শীর্ষ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউ- তে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ওপর ইউএনডিপি এবং ইউএন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। পরে, প্রধানমন্ত্রী ‘ক্রিয়েটিং এ পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স: ফ্যাসিলিট্যাটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজিস শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ইউএনএইচকিউ- তে ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও কানাডা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য সার্বিক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমার সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ইস্যুতে ইথিওপিয়া প্রতিনিধিদল আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দেবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস স্কওয়াব এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সদানন্দ ধুমির সাক্ষাতের কথা রয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলে ভার্জিনিয়ার আইবিএমের প্রেসিডেন্ট মেরি রোমেটি সাক্ষাত করবেন। এরপর কসোবোর প্রেসিডেন্ট হাসগিম থাচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউ-এ পানি বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তার এই জাতিসংঘ সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। ভার্জিনিয়ায় সপ্তাহ খানেক অবস্থান করবেন। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীর এক মাসের আল্টিমেটাম ॥ উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টরা তৎপর নড়েচড়ে বসেছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন আজাদ সুলায়মান ॥ যে কোন মূল্যে উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রী এক মাসের আল্টিমেটাম দেয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন। ছুটির দিনেও বিমানবন্দরে স্বশরীরে হাজির হয়ে তৎপর থাকতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। দ্রুত লাগেজ ডেলিভারি দেয়া, চেকইন করা, ফ্লাইট সিডিউল রক্ষা করা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্গো খালাসের কাজে তদারকি করছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ। তিনি দাবি করছেন, পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি চোখে পড়বে। জঞ্জাল আর থাকছে না। উল্লেখ্য, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনির্ধারিত এক আলোচনায় বিমান সম্পর্কে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিমানের টিকেট চেয়ে পায় না মানুষ অথচ ফ্লাইটে উঠে সিট খালি পাওয়া যায়। বিদেশী স্টেশনগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। প্রধানমন্ত্রী এসব দেখার জন্য বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন মন্ত্রী। এ অবস্থায় দুদিন পর বুধবার বিমানবন্দরে হাজির হন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেনÑ সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশনের নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব) এনামুল বারী, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ, সিভিল এভিয়েশনের মেম্বার (অপারেশন) এয়ার কমোডর মুস্তাফিজুর রহমান। এ সময় মন্ত্রী দেখতে পান কার্গোতে বিপুল পরিমাণ মালামাল খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। এসব মালামাল জমে থাকার কারণ জানতে চান। তখন তাকে বলা হয় ঈদের সময় অনেক সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ছুটিতে থাকায় এবং ব্যবসায়ীরা গড়িমসি করায় কার্গোর স্তূপ জমেছে। একপর্যায়ে তিনি বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে এক মাস (৩০ দিন) সময় বেঁধে দেন। এ সময় তিনি জানতে চান ইডিএস সম্পর্কে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো স্থাপন করা ইডিএস (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম- বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা) স্থাপন ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণেরও সময় এ সময় বেঁধে দেন। বিমানবন্দরের কার্গো ব্যবস্থাপনা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ও যাত্রীসেবার স্থানগুলো পরিদর্শন করে মন্ত্রী গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে কার্গোজট কমানোর নির্দেশনা দেন। বিমান সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রীর আল্টিমেটামের পর নড়েচড়ে বসেছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন। এ দুটি সংস্থার শীর্ষপর্যায় থেকে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য কঠোর দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এমনকি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদকে শুক্রবার ছুটির দিনেও বিমানবন্দরের যাত্রীদের ভালমন্দ তদারকি করতে দেখা গেছে। বিমান জানিয়েছে, বর্তমানের ফিরতি হজ ফ্লাইটের ওপরই বেশি নজর ও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বিমানকে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি হাজীর লাগেজ ডেলিভারি ও জমজমের পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে। গোটা বিমানবন্দর এখন হাজীদের পদভারে মুখরিত। এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পাশাপাশি বিমানের সিডিউল যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এতে বিমানকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে । এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ইতোমধ্যে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সাভির্সের কিছু ইক্যুইপমেন্ট হাতে এসেছে। খালাসের অপেক্ষায় পোর্টে আরও রয়েছে। এগুলোর সব হাতে এলে গ্রাউন্ড সার্ভিসের বর্তমান সমস্যা আর থাকবে না। এমনিতেই আগের তুলনায় বেশ উন্নতি হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিনের ফ্লাইট মনিটর করছি। কোন্ ফ্লাইট কয়টায় ল্যান্ড করছে, কয়টায় লাগেজ ডেলিভারি দেয়া শেষ হয়- এসবই আলাদা আলাদা রেকর্ড করা আছে। কেউ চাইলে দেখতে পারেন। এ নিয়ে লুকোচরি করার কিছুই নেই। কার্গো ডেলিভারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানেও কাজ চলছে। কার্গো ডেলিভারির কাজ শুধু বিমানের একার নয়, এখানে সিভিল এভিয়েশন ও কাস্টমসেরও দায়িত্ব আছে। ঈদের সময় ৩১শ’ টন কার্গো আসে, তার মধ্যে খালাস দেয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৫শ’ টন। বাকিগুলো রাখার মতো স্থান না থাকায় বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হচ্ছে। এগুলোও এখন সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি এক মাসের আগেই সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এজন্য দিবারাত্রি কাজ চলছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী রাশেদ খান বলেন, সম্প্রতি ইডিএস এবং ইটিডি মেশিন স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসহ সর্বত্র নিরাপদে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত হবে এবং এ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার আরোপিত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই আপনারা উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পারবেন।
×