ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের ৪৫ দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিশ্বের ৪৫ দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৪৫টি দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করে গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ২৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে রফতানি আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, তৈরি পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২০১৫-১৮ মেয়াদের জন্য গৃহীত রফতানি ও আমদানি নীতির ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ মেয়াদের জন্য অনুরূপ নীতি প্রণয়নের কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে জাতীয় উদ্যোগ, এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাসমূহের প্রাথমিক যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রেমিডিয়েশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তিনি জানান, তৈরি পোশাক কারখানার কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং কারখানা পর্যায়ে কমপ্লায়েন্স শর্ত প্রতিপালনে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৩৭ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই অর্থবছরে রফতানি আয় হয় ৩৪ হাজার ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নানাবিধ কারণে অর্জিত না হলেও তা পূর্ববর্তী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি আয় অপেক্ষা বেশি, প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ১ দশমিক ৭২ ভাগ। সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, বিগত অর্থবছরে মোট ৪৩ হাজার ৬৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য বিদেশ হতে আমদানি করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ অর্থবছর হতে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহে বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য রফতানি করেছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহে বাংলাদেশী রফতানিকৃত পণ্যের আলাদাভাবে কোন হিসাব সংরক্ষিত নেই। ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি ॥ সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব নির্ণয়ের কাজ চলছে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর দেশের বোরো ও আমন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে দেশে আপদকালীন মজুদ কমে যাওয়ার কারণে সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত জি টু জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম হতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে। এছাড়া জি টু জি চুক্তির আওতায় কম্বোডিয়া হতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল এবং রাশিয়া হতে ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও দেড় লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব দরপত্রের আওতায় থাইল্যান্ড হতে ৩২ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন, ভারত হতে ১৬ হাজার ৩০১ মেট্রিক টন এবং মিয়ানমার হতে ২১ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
×