ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

লংগদু পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

লংগদু পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবস আজ। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনসংহতি সমিতির বর্তমানে লুপ্ত শান্তি বাহিনী সভা করার আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ নিরীহ বাঙালী কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসব কাঠুরিয়ার প্রত্যেককে মুন্ড- ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করা হয়েছিল। পরে এসব মুন্ড ও পুরুষাঙ্গ বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে এ নির্মমতা ওই সময়ের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল। উদ্ধারকৃত একটি লাশেরও হাত সঙ্গে ছিল না। বৈঠকের নামে এদের হাত-পা বেঁধে প্রথমে লাঠিপেটা করা হয়, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পরে দেহ থেকে মুন্ড- ও পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই সময়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তৎকালীন সরকারের কয়েক প্রভাবশালী মন্ত্রী লংগদু সফর করেছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি ওই বছরের ৩১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে, স্বজন হারানোর বেদনায় নিহতদের পরিবারের মাঝে এখনও পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। এরপর শান্তি চুক্তি হয়েছে। শান্তি বাহিনীর গেরিলারা সন্তু লারমার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনও জনসংহতি সমিতি ও তাদের বিরোধী আরেক সংগঠন ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বাঙালীবিরোধী সন্ত্রাস থেমে নেই। শান্তি চুক্তি হলেও অশান্তির ডালপালা বিস্তৃত হয়ে আছে। নিহতরা ছিল গরিব কাঠুরিয়া। বনজঙ্গল থেকে কাঠ কেটে তা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। তৎকালীন শান্তি বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বৈঠকের আহবান জানিয়ে তাদের নৃশংস কায়দায় হত্যা করে।
×