ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

বেওয়ারিশ রাস্তা! রশিদ মামুন ॥ রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী যাওয়া এবং আসার রাস্তার ঠিক মুখেই প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা ভাঙ্গা। এর বাইরে আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার কাছে আরও ১০০ মিটার রাস্তা ভাঙ্গা। মোট ৪০০ মিটার ভাঙ্গা রাস্তার কারণে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। মাঝে মধ্যেই বাস বা অন্য পরিবহন ছেড়ে মানুষ কাদামাখা রাস্তায় হাঁটা শুরু করে। অথচ এই রাস্তা টুকু পেরুলে হাতির ঝিলে ওঠার ইউলুপ-হাতির ঝিলের বাহারি প্রকল্প। সরকারের এত টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প গিলে খাচ্ছে মাত্র ৪০০ মিটার রাস্তা। কিন্তু সামান্য এই রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। সেদিন একজন বাসযাত্রী বলছিল নিশ্চিত এই রাস্তা বেওয়ারিশ! না হলে এর এতদিনে কিছু হতো। বিপজ্জনক চলন্ত প্রেম... রুমেল খান ॥ মধ্য আগস্টের প্রখর খরতাপের এক দুপুর। সৌভাগ্যক্রমে আকাশে আজ কালো মেঘ নেই। হচ্ছে না বৃষ্টি। নায়করাজ রাজ্জাকের মতো আমিও রাস্তায় চলেছি নীল আকাশের নিচে। তবে পায়ে হেঁটে নয়, বাসে। একা নই, জনা পঞ্চাশেক অচেনা মানুষের সঙ্গে। গন্তব্য নিউ ইস্কাটনের জনকণ্ঠ অফিস। লোকাল কোন খেলাধুলা না থাকায় মাঠে না গিয়ে অনেকদিন পর অফিসে যাচ্ছি। বাসে কোন খালি সিট পাইনি। অগত্যা হ্যান্ডেল ধরে ‘শপথ’ করার স্টাইলে দাঁড়িয়ে থাকা। একপর্যায়ে বাস উঠল খিলগাঁও ফ্লাইওভারে। কিছুদূর যেতেই চোখে পড়ে ফ্লাইওভারের আরেকটি নতুন বর্ধিতাংশ। সেটা প্রায় একশ’ হাত দূরে। সেটা দিয়ে কখনই খুব বেশি যানবাহন চলাচল করে না। বেশিরভাগ সময় ফাঁকা থাকে। হঠাৎ সেদিকে একটা দৃশ্য দেখে চমকে উঠতে হলো। আমাদের বাসের সমান্তরালে চলছে একটা মোটরসাইকেল, তাতে আরোহী দুজন। চালকের আসনে একটি যুবক। যাত্রীর আসনে একটি যুবতী। খুবই সাধারণ দৃশ্য। কিন্তু চমকানোর কারণ- গাড়ি চালাতে চালাতেই যুবক মহাশয় পেছনে ঘাড় ফেরাচ্ছিল। আর যুবতী মহাশয়া তার ওষ্ঠে চুম্বনরেখা এঁকে দিচ্ছিল। এভাবে পর পর দু’বার। সিনেমার পর্দাতেই এ রকম দৃশ্য দেখা যায়। আজ বাস্তবে দেখে চক্ষু চড়কগাছ! যুবকটি যেভাবে চলন্ত অবস্থায় কাজটি করছিল, তাতে যে কোন মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আর কে না জানে, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। অথচ এই প্রেমিকজুটির ভাবখানা ছিল, ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি! পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া!’ দিক বিড়ম্বনা! মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল ॥ দিক বিড়ম্বনা! সকলে বলছে সূর্য ডুবছে পশ্চিমে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক এসএম আজগর আলী বললেন, ওটা সরাসরি পশ্চিম দিক নয়। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর ইন্সপেশন অফিসের দিক নিয়ে এই বিড়ম্বনা। ঈদ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আগত সদস্য ও অতিথিরা শিমুলিয়া বন্দরের ওই বাংলোর টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পড়েন বিড়ম্বনায়ও। দৃষ্টিনন্দন ওই টয়লেটে কয়েকটি গোসলখানা, কয়েকটি টয়লেট ও চারটি প্রস্রাব করার প্যান রয়েছে। কিন্তু প্রস্রাব করার ওই চারটি প্যান পশ্চিম দিকের দেয়ালে লাগানো রয়েছে। কাউকে প্রস্রাব করতে হলে তাকে পশ্চিম দিক দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে হয়। এ নিয়ে আগতদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএর মতো একটি প্রতিষ্ঠান কি করে এ ধরনের কাজ করতে পারল তা বোধগম্য নয়। বিব্রতকর অবস্থায় অনেকেই প্রস্রাব করতে গিয়ে ফিরে এসে অন্যত্র গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়েছেন।
×