ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বাগমারার সেই ১০ পরিবার এখনও গ্রামছাড়া

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৪ আগস্ট ২০১৭

বাগমারার সেই ১০ পরিবার এখনও গ্রামছাড়া

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসায় ধারাবাহিক হামলা, ভাংচুর ও ক্ষেত-খামার ধ্বংসের ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিজ গ্রামে ফিরতে পারছেন না রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের চক মহব্বতপুর এলাকার সেই ১০টি পরিবার। নিজেদের ক্ষেতে যেতে পারছেন না, পুকুর ও নলকূপের পানিও ব্যবহারে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় পুলিশের উদাসিনতা ও পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রবিবার ডাকযোগে তারা আইজিপি বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। একই স্মারকলিপি রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারকেও দেয়া হয়েছে। হামলার শিকার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত মাসের ২৩ তারিখের পর থেকে তারা গ্রামছাড়া হয়ে আছেন। এর মধ্যে পান বরজ ধ্বংস করেছে প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষের ধারাবাহিক হামলা-মামলার মুখে নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের পাট। স্থানীয় এনামুল নামের এক প্রভাবশালীর মদদে এসব তা-ব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত পরিবারগুলো। অত্যাচার ও নিপীড়নের মুখে বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা রাজশাহী শহরে এসে ডিআইজি ও এসপি অফিসে অভিযোগ করেছেন। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, এসব ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ প্রভাবশালীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে তারা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তনেরও দাবি করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চকমহব্বতপুরের কবিরাজ পাড়ার আয়েন উদ্দিন, আজাবুল ইসলাম, সাহাবুল ইসলাম, জার্জিস আলম, মুস্তাকিন ও ইউসুফ আলীর অন্তত তিনবিঘার পানের বরজ কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। যাতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর আগে আরও পাঁচটি পানের বরজ, দুই হাজার বাচ্চাসহ একটি মুরগির খামার ধ্বংস, ১০টি বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। ওই বাড়িতে থাকা একজনের সকল শিক্ষা সনদও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর দেয়া নিয়ে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। ২৩ জুলাই সকাল থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছিল। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে এনামুল হকের নেতৃত্বে তার একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজনকে তারা কুপিয়ে জখম করে এবং বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনার পরের দিন নিরাপত্তার জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও থেমে থাকেনি তাদের তা-ব। পুলিশের সামনে তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসবের প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করা হলেও পুলিশ আসামি পক্ষেও হয়ে কাজ করায় তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে।
×