ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

দুই গৃহবধূ খুন ॥ ২ লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৬ আগস্ট ২০১৭

দুই গৃহবধূ খুন ॥ ২ লাশ উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বগুড়া ও পটুয়াখালীতে দুই গৃহবধূ খুন ও একজনের লাশ উদ্ধার এবং আমতলীতে ওয়ারলেস অপারেটরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। বগুড়া ॥ গাবতলিতে শুক্রবার রাতে নাহিদা আক্তার বিথি নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর প্রাক্তন স্বামী জিল্লুর রহমান সর্দার, তার ছোট স্ত্রী মুন্নী বেগম ও মা গোলবানুকে আটক করেছে। এর মধ্যে জিল্লুর পুলিশের কাছে তার সাবেক স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার সকালে গাবতলী সদরের টিএ্যান্ডটি পুকুরে ওই গৃহবধূর লাশ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানায়, নাহিদা আক্তারের সঙ্গে জিল্লুরের ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। গত বছর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। শনিবার নাহিদা তার সাবেক স্বামীর বাড়ি উপজেলার বড়গোড়দহ গ্রামে গিয়েছিল। সেখানে রাতে তাকে মারপিট করে হত্যার পর বাড়ি থেকে দূরের একটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। নিহত গৃহবধূর শরীরে মারপিটের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামে নিপা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। এদিকে, গলাচিপা উপজেলার চরশিবা গ্রামে সুমনা বেগম (২৫) নামের অপর এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। দুটি ঘটনাই ঘটেছে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে। এরমধ্যে নিপা হত্যা মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের আশরাফ সিকদারের মেয়ে নিপা বেগমের সঙ্গে ৮ মাস আগে একই গ্রামের ফারুক মুন্সীর ছেলে মুদি দোকানদার সোলেমান মুন্সীর বিয়ে হয়। কয়েকদিন ধরে সোলেমান মুন্সী তার স্ত্রী নিপা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে একটি টাচ মোবাইল এনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। নিপা এতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিপা বেগমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় রাতে নিপা বেগমকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার এ ঘটনায় আশরাফ সিকদার বাদী হয়ে নিপা বেগমের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করে রাঙ্গাবালী থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। শ্বশুর ফারুক মুন্সীকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা স্লুইসগেট বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী সজল বেপারির স্ত্রী, দুই সন্তানের মা সুমনা বেগম শনিবার সকালে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সুমনা বেগম আত্মহত্যা করে। আমতলী, বরগুনা ॥ ‘সিডরম্যান’ খ্যাত তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর (সিপিপি) ইউনিট প্রধান ও ওয়ারলেস অপারেটর জয়দেব দত্তের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার সময় বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের সিপিসির ওয়ারলেস অপারেটর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে জয়দেব দত্ত উপজেলার স্কুল সড়কের বাসা থেকে তালতলী ওয়ারলেস অপারেটর অফিসে আসে। ওইদিন আর বাসায় ফিরে যায়নি। শনিবার সকালে বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদে আসা সাধারণ মানুষ পচাদুর্গন্ধ পেয়ে চেয়ারম্যান আলমগীর মিঞাকে জানায়। চেয়ারম্যান পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে বন্ধ কক্ষ ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে জয়দেব দত্তের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ওই অফিসের টেবিলের ওপর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নিজ হাতের লেখা একখানা চিঠি ও টেবিলের নিচ থেকে দুটি কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করে।
×