কতিপয় অসচেতন নাগরিক পলিব্যাগ বোঝাই ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলায় বৃষ্টির পানি আর সরতে পারে না বলেই তো বলতে হচ্ছে- ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর পথে এলো বান।’ ভাদ্রেও বৃষ্টি হয়, এমনকি আশ্বিনেও। আজ ড্রেন ও খালের সাথে নদীর সংযোগ না থাকাতে বৃষ্টির পানি সরে যেতে পারছে না। এ জন্য বর্ষাকালে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ দেখা দেয় ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বলতে বাধ্য হচ্ছি- মানুষের মধ্যেও থাকে কতিপয় অসচেতন মানুষ। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যখন ব্যালকনিতে দাঁড়াই তখন রূপনগর আবাসিক এলাকার সড়কে চোখে পড়ে কেউ ড্রেনে ফেলছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। একটু বেলা হতেই দেখি কেউ কোন্ড ড্রিংকস খেয়ে প্লাস্টিকের বোতলটা রাস্তায় নয়ত ড্রেনে ছুড়ে মারছে। তেমনি কলা, চিপস খেয়েও ছোলা আর খোসাটি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। এ-ও চোখে পড়ে কেউবা দুপুরে কিংবা বিকেলে পলিব্যাগ ভর্তি ময়লা ড্রেনে ফেলে দিচ্ছে। অথচ প্রতিদিন সকালে একজন কর্মী ময়লা নেয়ার জন্য আসে। ড্রেনে ময়লা ফেলার প্রতিবাদ করার জন্য দু’-একজন এগিয়ে এলেও কতিপয় অসচেতন দাপুটে পুরুষ-মহিলার জবাব-‘এই তোর বাপের জায়গায় ফেলছি, সরকারের জায়গায় ফেলব, তাতে তোর কী?’ এই যদি হয় কতিপয় মানুষের কথাবার্তা ও তাদের চরিত্র তাহলে ড্রেন থেকে ময়লা পানি ও আবর্জনা নিষ্কাশন হবে কীভাবে? আর সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে ওরা বলে- “নির্যাতিত হয়েছি”।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রথমে ড্রেনগুলি গভীর ভাবে খনন করা এবং সেখানে ময়লা না ফেলা ; খালগুলি উদ্ধার করে তা খনন, অতঃপর নদীর সংগে সংযোগ করে দেয়া চাই। আর নদী দখলের অংশসহ পলি ভরা নদীগুলো খনন করলেই বর্ষাকালে শহরে-বন্দরে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু উদ্যোগী হয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থে-যারা ড্রেনে, খালে, নদীতে জলাশয়ে, পুকুরে, ডোবায়, ঝরণায় পলিথিন ভরে ময়লার স্তূপ, বিভিন্ন ড্রিংকসের বোতল সহ অন্য নানান ধরনের ময়লা ফেলেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। শাস্তির উপর বড় ওষুধ আর নেই- তাই এ ব্যাপারে সরকারের স্ব-স্ব বিভাগ কঠোর থেকে কঠোরতর হবেন বলে আশা রাখি।
রূপনগর, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: