নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২১ জুলাই ॥ সখীপুর নলুয়া বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁশতৈল রেঞ্জের নলুয়া বিটের অন্তর্গত ঘেচুয়া গ্রামে বনের জমিতে নির্মাণ হয়েছে ঘর। রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে কর্তন করা হয়েছে শাল- গজারি গাছ। স্থানীয় লোকজন বিট কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করলেও নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০৭৫ দাগে যেখানে সরকারী উডলট বাগানের নার্সারি করা হয়েছিল সেখানেই সাহাদুল্লাহর ছেলে বেলাল মিয়া নির্মাণ করেছে ঘর। এই দাগের প্লটটি ছিল সিকিমুদ্দিনের ছেলে সমেজ উদ্দিনের নামে। তিনি বারবার বিট অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করলেও সাড়া মিলেনি প্রশাসনিক কোন সহযোগিতার। প্লট মালিক সমেজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বিট অফিসার আলাউদ্দিন মোটা টাকা ঘুষ নেয়ার কারণেই আমার এ সরকারী প্লট রক্ষার কোন ব্যবস্থা এ পর্যন্ত তিনি গ্রহণ করেননি। শুনছি প্লটটিও নাকি আমার নাম থেকে পরিবর্তন করে অন্য কারও নামে দেয়া হবে। অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, রতনপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে ৭টি বড় শাল-গজারি গাছ বিক্রি ও একটি পোল্ট্রি ফার্মের ঘর নির্মাণ বাবদ বিট কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ৭০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে। গত ২৮ জুন টাঙ্গাইল বন বিভাগের ওপর মহলের হস্তক্ষেপের কারণে পোল্ট্রি ঘর ভেঙ্গে দিলেও রক্ষা করা যায়নি শাল-গজারি গাছ। একইভাবে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ছাপড়া বাজারের পূর্ব পাশে ঘেচুয়া মৌজার ২৭৮নং দাগে ফজলের ছেলে জয়নাল এবং বোয়ালী পশ্চিমপাড়া পাহাড়কাঞ্চনপুর মৌজার ৭০৭নং দাগে মোজাফরের ছেলে আলহাজ একটি ঘর ও ২টি ছাপড়া নির্মাণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্লট বরাদ্দ বাবদ প্রতিটি প্লট মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া হচ্ছে ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা বলেন, ঘর নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর গাছ কর্তনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বাঁশতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, কয়েকদিন আগে ওই বিট থেকে একটি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে সকল বিষয়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টাঙ্গাইল সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাল-গজারি গাছ কর্তনের ব্যাপারে নলুয়া বিট কর্মকর্তাকে মামলা দায়ের করতে বলেছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: