ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

লোকনাট্য দলের তিন যুগ পূর্তি উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৪ জুলাই ২০১৭

লোকনাট্য দলের তিন যুগ পূর্তি উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৮১ সালের ৬ জুলাই ধানম-ির ৩২ নম্বরের বাসভবনে প্রতিষ্ঠিত হয় লোক নাট্যদল। বঙ্গবন্ধুর বাসগৃহে দলটি প্রতিষ্ঠার সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দলের অধিকর্তা লিয়াকত লাকী ও বাহার উদ্দীন খেলনের উপস্থিতিতে গড়ে ওঠা দলটির কালের পরিক্রমায় পূর্ণ করেছে তিন যুগ। এ উপলক্ষে কাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে চারদিনের উৎসব। লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত দলের ৮টি নাটক নিয়ে সাজানো হয়েছে উৎসব। সেই সঙ্গে রয়েছে সেমিনার ও নাটককেন্দ্রিক আলোচনা। লোক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও তিন যুগ পূর্তির উৎসব উপলক্ষে সোমবার শিল্পকলার একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন লোক নাট্যদলের কর্ণধার শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেনÑ দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কৃষ্টি হেফাজ, রুবেল শংকর, মাসউদ সুমন প্রমুখ। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নাট্যধারাকে সামনে রেখেই তিন যুগের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে লোক নাট্যদল। আর এ সময়ে লোকজ ধারার নাটক থেকে শুরু করে শেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মুনীর চৌধুরী রচিত নানা বিষয়ধর্মী প্রযোজনা মঞ্চে আনা হয়েছে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে উপজীব্য করেও নাটক নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে নাট্যচর্চার মাধ্যমে আমরা মূল ধারার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়েছি। দলের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনেই জন্ম নেয় লোক নাট্যদল। ১৯৮১ সালের ৬ জুলাই ওই বাড়ির ড্রইং রুমে প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের এ নাট্যদলটি। আর এ নাট্যদল গঠনের পেছনে সশরীরে উপস্থিত থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উৎসব প্রসঙ্গে জানানো হয়, লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত উৎসবের নাটকগুলোর প্রদর্শনী হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার লবিতে উৎসব উদ্বোধন হবে। সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান উৎসব উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে দুটি নাটক। সন্ধ্যা ৭টায় প্রথমে মঞ্চস্থ হবে সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে মলিয়েরের সৃষ্টি অবলম্বনে তারিক আনাম খান রূপান্তরিত দেশের সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক ‘কঞ্জুস’। উৎসবের দ্বিতীয়দিন বৃহস্পতিবার সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে নাটককেন্দ্রিক আলোচনা। আলোচনা শেষে মঞ্চস্থ হবে ডাঃ আব্দুস সেলিম অনূদিত গাও সিং জিয়ান রচিত নাটক ‘মাঝরাতের মানুষেরা’। তৃতীয় দিন শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে তিন নাটকের প্রদর্শনী। প্রযোজনাগুলো হলোÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনালেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’ এবং রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি অবলম্বনে ‘ডাকঘর’ ও ‘রথযাত্রা’। একই দিনের সন্ধ্যায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পদাবলী যাত্রা ‘সোনাই মাধব’। উৎসবের সমাপনী দিন শনিবার। এদিন বেলা ১১টায় একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘লোক নাট্যদলের কর্মমুখর তিন যুগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী সন্ধ্যায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাসরীন মুস্তাফা রচিত নাটক ‘লীলাবতী আখ্যান’।
×