ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৯ জুন ২০১৭

বেড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই  তৈরি

সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ১৮ জুন ॥ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিশ্বরোডের পাশে ময়লা-আবর্জনা। বাতাসে ধুলা-বালি উড়ছে। এর মধ্যেই টেবিলে সারি সারি সাজিয়ে রোদে শুকানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ কারখানায় তৈরি কাঁচা সেমাই। আবার পোড়া মবিলে ভাজা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। সামনে ঈদ। তাই সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত পাবনার বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুরের কারখানাগুলো। যেন কোন নিয়মনীতি মানার সময় নেই তাদের। এগুলো প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে। বাহারি রঙের প্যাকেট দেখে কারও বোঝার উপায় নেই এগুলো ভেজাল নাকি আসল। ঈদকে সামনে রেখে পাবনার কাশীনাথপুরসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় গড়ে উঠেছে সেমাই তৈরির ভ্রাম্যমাণ কারখানা। অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এসব সেমাই তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এসব কারখানার কোনটিরই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। এমনকি এসব কারখানার মালিকেরা বিএসটিআইয়ের ধারের কাছেও যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এদিকে ঈদ উপলক্ষে বিএসটিআইয়ের অসাধু কর্মকর্তারা ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টররা এসব কারখানা থেকে বাড়তি আয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অত্যন্ত নিম্নমানের ময়দা, খাবার সোডা, ভেজাল সয়াবিন তেল, ডালডা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে সেমাই, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। আবার পচা ও নি¤œমানের ময়দা দিয়ে তৈরি হচ্ছে শুকনো সেমাই। জানতে চাইলে কাশীনাথপুরের স্থানীয় চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম সানু বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব সেমাই খেয়ে পেটের পীড়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ হতে পারে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। জন্ডিস, টাইফয়েডসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগও দেখা দিতে পারে। তাই রাস্তার ওপর তৈরি সেমাই বর্জন করাই উত্তম। ভ্রাম্যমাণ সেমাই কারখানার মালিক রমজান আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আগুনের হিটে সেমাই আর অস্বাস্থ্যকর থাকে না। বড় বড় কোম্পানির সেমাই আর আমার কারখানার সেমাইয়ের মধ্যে কোন তফাত নাই। সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ১৮ জুন ॥ ‘বেড়ায় আবাসিক এলাকায় কয়লার আড়ত : ছড়াচ্ছে রোগব্যাধি ॥ বিবর্ণ ফসলি জমি’ শিরোনামে গত ১৪ জুন জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামচুন নাহার সুমী বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে রবিবার সকালে তিনি সরেজমিন তদন্ত করেন। উল্লেখ্য, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাট ও রঘুনাথপুরে যমুনা নদীর কোলঘেষে বেড়ে ওঠা প্রায় দু’শ বছরের পুরানা আবাসিক পল্লীতে কয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছেন কয়লার আড়ত। সড়কের পাশে খোলা জায়গায় রেখে দেয়া কয়লার গুঁড়ো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় এ এলাকার কৃষি-পরিবেশ ও জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। যমুনার নির্মল বাতাসে এখন শুধুই পিট কয়লার পোড়া গন্ধ।
×