ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ জুন ২০১৭

 ঢাকার দিনরাত

আষাঢ় এসে গেল। গত সপ্তাহে একাধিক দিন তাপমাত্রা ছত্রিশের ওপর উঠেছিল। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শ্রমজীবী মানুষের বেশি কষ্ট। আগের দুই সপ্তাহে লোডশেডিং ও পানির কষ্ট নিয়ে লিখেছি। তাই পুনরুক্তি অপ্রয়োজনীয়। তবে একটি কথা না বললেই নয়। বলা হয়েছিল, মানে আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই বলে যে ঢাকায় সেহরি ও ইফতারের সময়ে লোডশেডিং করা হবে না। কে কার কথা রাখে। কবি তো বলেই গেছেন, কেউ কথা রাখেনি। এটা এখন স্পষ্ট যে গরমে বিদ্যুত পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় চলতি বছরে কিছুটা পিছু হটেছে কর্তৃপক্ষ। তবু এটাকে মন্দের ভাল হিসেবেই দেখতে চাইছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাসায় চার ঘণ্টা বিদ্যুত না থাকাটা সহ্য করে যেতে হচ্ছে। অবশ্য ছত্রিশ ডিগ্রি তাপমাত্রার ভেতর লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি আর যে সহনীয় থাকে না, সে কথা বলাই বাহুল্য। ঈদ মৌসুমে রাজধানীর শপিংমলগুলো রীতিমতো মৌচাক হয়ে ওঠে। মৌচাক ঘিরে যেমন থাকে মধুসন্ধানী ও মধুসঞ্চয়ী মৌমাছি, তেমনি শপিংমল ও শপিং সেন্টারগুলো ঘিরে থাকে ঈদের পোশাক সন্ধানী ও সংগ্রহকারীদের ভিড়। যদি বলি ঈদ মৌসুমে গোটা রাজধানীই হয়ে ওঠে এক জাতীয় মৌচাকÑ তাতে ভিড় করে আসে মধুসন্ধানী মানুষ, তাহলে খুব একটা ভুল বলা হবে না। ঈদ যত কাছে চলে আসে ততই ভিড় বাড়তে থাকে ঢাকায়। এমনিতেই ঢাকা হলো লোকে ঠাসা, রাস্তাগুলো অতিরিক্ত গাড়িতে ঠাসা। তার ওপর বিশেষ কোন উপলক্ষে ঢাকায় নতুন আগমনকারী মানুষের ভিড়ে ঢাকা আরও ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। নিউমার্কেটের মতো ঈদ-শপিংয়ের জমজমাট এলাকায় রাস্তার ওপর কখনও কখনও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রমজান মাসের প্রথমার্ধ শেষ হওয়া মানেই রাজধানীতে ঈদ উদযাপনের জন্য আগাম আয়োজনের নানা তোড়জোড় শুরু হয়ে যাওয়া। আয়োজন কি আর একটা? পয়লা নম্বরেই আছে নতুন জামাকাপড় আর জুতা কেনা। শুধু জামা-জুতাই কি? গহনা-অলঙ্কারও এর ভেতর পড়ে। অনেকে বলতে পারেন প্রথম রোজা থেকেই ঢাকায় বসে যায় ঈদের বাজার। নামী-দামী শপিং মলগুলো আরও ঝলমলে হয়ে ওঠে। সাজ সাজ রব পড়ে যায়। এক মার্কেটের সঙ্গে অন্য মার্কেটের একটা অলিখিত প্রতিযোগিতাও চলে। কোন মার্কেট কত বেশি পরিমাণে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা। ব্যবসায়ীরা ভাল করেই বেচা-বিক্রির হিসাব জানেন বছরের এগারো মাস এক দিকে আর এই একটি মাস আরেক দিকে। রমজান তাদের জন্য বাড়তি রহমতের মাস। তাই এ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা আর উত্তেজনা থাকে অনেক। তবে এটাও সত্যি যে এখন এক এলাকার মানুষ আরেক এলাকার মার্কেটে গিয়ে সাধারণত ঈদের শপিং করেন না। নিজেদের এলাকার মধ্যেই কেনাকাটার কাজটা সারেন। রমজানে ঢাকার যানজট পরিস্থিতি সহনশীলতার সকল সীমা ছাড়িয়ে যায় বলেই বাধ্য হয়ে নিজের এলাকা কিংবা নিকট দূরত্বের ঈদ মার্কেটের বিষয়টি তারা বিবেচনায় রাখেন। এটা অবশ্য সাধারণ হিসাব। ব্যতিক্রম তো আছেই। ধরা যাক উত্তরায় একাধিক বিশাল শপিং কমপ্লেক্স থাকতেও যারা যাতায়াতের হিসাবে দু-তিন ঘণ্টা দূরত্বের নিউমার্কেট কিংবা পান্থপথের সুবিখ্যাত বিপণি কেন্দ্র বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে আসেন, তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। আস্তে আস্তে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক মার্কেটে আসতে শুরু করে। ক্রেতারাও দেখেশুনে কিনতে শুরু করতে রমজানের প্রথম কি দ্বিতীয় সপ্তাহ গড়িয়ে যায়। সে বিবেচনায় এখন রাজধানীর ঈদের বাজারের চূড়ান্ত ও মোক্ষম সময় যাচ্ছে। বড় বড় প্রতিটি মার্কেটেই ভিড় হচ্ছে প্রতিদিনই। বিশেষ করে ইফতারির পর মধ্যরাত পর্যন্ত এসব মার্কেটে ভিড় যেন উপচে পড়ে। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ত্যাগের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়ে গেছে। বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। এই টিকেট সংগ্রহের কাজে আছে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি, তবু কাক্সিক্ষত টিকেট পাওয়া গেলে যে আনন্দ লাভ ঘটে তাতে সব কষ্ট ও ভোগান্তি উবে যায়। ঢাকা যে আসলে ‘অভিভাসনকারীদের’ শহর, সেটা ঈদ মৌসুমেই বোঝা যায়। আমরা বলি ঢাকায় এখন প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস। কিন্তু ঈদের সময় এই সংখ্যা বিপুলভাবে কমে আসে। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়, ট্রাফিক জ্যাম উধাও হয়ে যায়। তবে ঈদ উপলক্ষে ঈদের আগে ঢাকায় আবার বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমনও ঘটে। মূলত শপিং ও নানা কাজে মানুষ আসে। সাময়িক পেশার কারণে আসেন বহু কর্মজীবী। শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য যে এ সময় ভিক্ষুকদের আনাগোনাও বাড়ে ঢাকা শহরে। এখন ভিক্ষাবৃত্তিতেও সৃজনশীলতা যোগ হয়ে চলেছে। সেদিন আমার বাসার ঠিক সামনে দেখলাম শব্দবর্ধক যন্ত্র সহযোগে রেকর্ডারে বাজছে ধর্মকথাÑ তাকিয়ে দেখি এক বালক ঠেলাগাড়িতে বসে আছে (ছবি দেখুন)। তার মা বহুতল ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ছুড়ে মারা টাকা কুড়িয়ে নিয়ে ছেলের হাতে দিচ্ছেন। ছেলে না হয় প্রতিবন্ধী, মা তো সুস্থ। তাই এই ভিক্ষাবৃত্তি অনেকের কাছেই গর্হিত কাজ বলে মনে হয়। এখনও সরেনি বনসাই বিমানবন্দর সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্পে যেসব বনসাই স্থাপন করা হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। বিমানবন্দর সড়কের বনসাই নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠার পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তার ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, পুরো কাজটি সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ এবং এ কাজে সরকারের একটি টাকাও ব্যয় হচ্ছে না। তিনি আরও বলেছেন, এখানে ডিএনসিসির কোন সম্পৃক্ততা নেই তবে সিটি কর্পোরেশন শুধু পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। ৭৫টি বনসাই (বামনবৃক্ষ) দেখতে কারও ভাল লাগলেও লাগতে পারে। তবে জনমত গেছে এর বিপক্ষেই। প্রথমত বিপুল সংখ্যক অর্থ ব্যয় (একটি গাছের দাম এক লাখ টাকার ওপরে) এবং সাধারণ দর্শনে এটি উটকো, উদ্ভট আরোপিত অচেনা মনে হওয়ায়। লক্ষণীয় হচ্ছে এই বনসাই লাগানোর পক্ষেও সুকৌশলে জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো হয়। আমার কাছেও এমন ই-মেইল এসেছে। পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল লেখালেখির একটি পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক থেকে বনসাই অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তা অপসারণের কাজ শুরু হয়নি। ব্যর্থতা নাকি অন্য কিছু! ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য নিয়ে আর কত লেখা যায়! বিআরটিসি বাসে দুই যাত্রীর কথোপকথন আবারও পাঠককে শোনাতে হচ্ছে। তারপর আসল কথায় ফিরছি। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার। বেলা দশটা। বিআরটিসির এসি বাসটি আবদুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে এসে বিমানবন্দরের কঠিন জ্যাম ছাড়িয়ে আবার জ্যামে পড়ল বিশ্বরোডে এসে। মনে হচ্ছে একেবারে কাকলী পর্যন্ত রুদ্ধ এই ট্রাফিক জ্যাম। যাত্রী ঠাসাঠাসি-গাদাগাদি বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে দুই ব্যক্তি আলাপ শুরু করেন। ১ম ব্যক্তি : এ তো অবাক কা-! আজ এখান থেকে জ্যাম শুরু হলো! কতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘামতে হবে কে জানে? ২য় ব্যক্তি : সেই তো দেখছি। এসি গাড়িতে এসি ঠিক নেই। প্রতিদিনই ঘামতে হয়। এর কি কোন প্রতিকার নেই? ১ম ব্যক্তি : কে করবে প্রতিকার? এরা মনোপলি ব্যবসা করছে। এই রুটে যদি আরেকটা কোম্পানির এসি বাস থাকত, তাহলে দেখতেন অবস্থা। যেটা ভাল সার্ভিস দিত, মানুষ সেটাতেই উঠত। ২য় ব্যক্তি : কে জানে লিজ নেয়ার সময় এই পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের হয়ত অলিখিত চুক্তিই এমন ছিল যে এই রুটে দ্বিতীয় এসি বাস চলবে না। ১ম ব্যক্তি : হুম। বাসের সিটগুলো চাপা। আড়াইজনের স্পেসে বসছেন তিনজন। আর গাড়িভর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা যাচ্ছে প্রতিদিন। তার পরও আমরা স্বস্তি পেতাম এই গরমে এসিটা যদি ঠিকমতো চলত। মানুষের এই ভোগান্তি কি চলতেই থাকবে? যাদের দেখার তারা দেখেও দেখবেন না! এই কথোপকথন থেকে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাসের এসি যথাযথভাবে কাজ করে না। অতিরিক্ত যাত্রী বহনও এর কারণ হতে পারে। তার অর্থ হলো বাস কর্তৃপক্ষ টাকা বেশি নিলেও সার্ভিস দিচ্ছেন কম। সপ্তাহের কয়েকটা দিন ভোগান্তি আরও বাড়ছে। কিভাবে? বলছি। রোববার থেকে বুধবার এই চার দিন আবদুল্লাহপুর অর্থাৎ বাসযাত্রার সূচনা পয়েন্টে একাধিক বিআরটিসি এসি বাস অপেক্ষমাণ থাকে। একটি বাস ছেড়ে গেলেই পরের বাসে লোক ওঠানো শুরু হয়। অথচ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারÑ এই তিনদিন স্টপেজে বাসই থাকে না। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর বাস আসে। তাহলে বাসগুলো যায় কোথায়? যাত্রীরা বলাবলি করেন, সপ্তাহান্তে ছুটির দিনগুলোয় ঢাকার বাইরে রিজার্ভ ভাড়ায় যায় বাসগুলো। তাই রাজধানীতে বাস সঙ্কট দেখা দেয়। নিশ্চয়ই এই কাজ বৈধ নয়। বাস চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ম করে দেয়াই আছে কোন্ বাস কোন্ রুটে চলবে। তার মানেই হলো এখানে নিয়মভঙ্গ হচ্ছে এবং সে জন্য ঢাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। যাত্রীদের সবচেয়ে বড় জিজ্ঞাসা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক যাত্রী থাকতে এই রুটে মাত্র একটি এসি বাস সার্ভিস কেন? অবস্থা পর্যালোচনা করলে আমরা সম্ভাব্য সিদ্ধান্তে আসতে পারি। স্পষ্টত এক্ষেত্রে অনৈতিক কিছু ঘটছে। যাদের বিষয়টি দেখার কথা, তারা চোখ বুজে আছেন। সরকারের কোন একটি খাত, সেটি যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, তা যদি ঠিকঠাক না চলে তাহলে ধরে নিতে পারি এটির উর্ধতন কর্তৃপক্ষ হয় অযোগ্য, নয় দুর্নীতিপরায়ণ। কিন্তু মানুষ দোষ দেয় সরকারকেই। ফলে সব দায় সরকারের ওপর চাপতে পারে। সে জন্যই আমরা মনে করি, অযোগ্য কিংবা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের সরিয়ে সেক্টরে নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো জরুরী। দু-চারজনের জন্য হাজার হাজার যাত্রী কেন নিত্য ভোগান্তিতে থাকবে। আর সরকারও বা কেন অপবাদ সহ্য করবে? বাসের ভেতরে ইফতার সবার পক্ষে সম্ভব হয় না পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। চলতি পথেই ইফতার করতে হয়। এমন একটি অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফেসবুক বন্ধু আবু সাঈদ আহমেদ। তুলে দিচ্ছি : ‘ইফতারের সময়ে বাসে উঠলে একটা দেড় লিটারের পানির বোতল আর দুই প্যাকেট বিস্কিট সঙ্গে রাখি। বোতলের পানি হাত থেকে হাত হয়ে ঘুরে বেড়ায় বাসময়। প্রতিবার বাসেই দেখি আমার মতো আরও মানুষ আছেন, ভাল লাগে। কিন্তু গত পরশু যে অভিজ্ঞতা হলো তা এই জীবনে প্রথম। ইফতারের আধাঘণ্টা আগে বাসে উঠেছি যথারীতি এক বোতল পানি আর দুই প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে। মাগরিবের আজান দিতেই বাসের ভেতরের রং বদলে গেল, দুজন সতেরো আঠারো বছর বয়সী ছেলে ব্যাগ থেকে বের করলেন আপেল আর কলা, একজনের কাছ থেকে বের হলো জিলাপি, খেজুর বের করলেন এক মধ্য বয়সী ভদ্রলোক। একজন মাঝ বয়সী চাকরিজীবী মহিলা কাপড়ের ছোট ব্যাগ থেকে বের করলেন টুকরো করা মাল্টা। সব থেকে অবাক ব্যাপার হলো সবাই পরিমাণে একটু বেশি করে নিয়ে এসেছেন। যথারীতি বাসের ভেতরে জমজমাট ইফতার হলো, প্রথম সিট থেকে ঘুরতে ঘুরতে খাবারগুলো পৌঁছে গেল শেষের সিটে। একটা খেজুরও যে পাঁচ ছয়জনে মিলে ভাগ করে খাওয়া যায় সে অভিজ্ঞতাও হলো। বাস চলছে, ইফতারে হাসিমুখে শরিক হলেন হাতে শাখা আর মাথায় সিঁদুর পরা এক বউদি আর গম্ভীর দাদাও। বাসের ড্রাইভার আর হেল্পারের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে আপেলের টুকরো, ঠা-া পানির বোতল। পুরো দৃশ্যটা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম- বাংলাদেশকে যারা জঙ্গী রাষ্ট্র বলে তারা এই দৃশ্যেও জঙ্গীবাদ খুঁজে পাবে হয়ত, কিন্তু এটাই তো আসল বাংলাদেশ, ভূমিপুত্র বাঙালীদের আবাস আর সৌহার্দ্যরে পরম্পরার আদিভূমি। এখানে মানুষ আর ধর্ম হাতে হাত রেখে চলে পরস্পর, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, ভালবাসা রেখে।’ ১১ জুন ২০১৬ [email protected]
×