ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মোঃ আব্দুস সোবহান

পরিবেশ বিপর্যয় উত্তরণে চাই পরিবেশ পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ জুন ২০১৭

পরিবেশ বিপর্যয় উত্তরণে চাই পরিবেশ পুলিশ

‘ফিরিয়ে দাও সে অরণ্য, লও এ নগর’ এখন সময় এসেছে কবির সুরে সুর মিলিয়ে বলার যে, এ সভ্যতা আমরা চাই না। সুস্বাস্থ্য হলো নির্মল পরিবেশের অবদান। পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষ, প্রাণীকুল, গাছপালা এবং অনুজীবসমূহ ধ্বংস ও বিলুপ্তির সম্মুখীন হচ্ছে। বৈশি^ক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ত্বকের ক্যান্সার, সুনামি, ঘূর্ণিঝড়সহ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবেই হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। পরিবেশ বিষয়ক অপরাধসমূহ বাংলাদেশ তথা গোটা বিশে^ এখন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মনুষ্য সমাজই মূলত দায়ী। আমাদের পরিবেশের ধ্বংস রোধ করতে হবে, পরিবেশের সকল উপাদানকে রক্ষা করতে হবে, সকল কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশের প্রাধিকার সর্বাগ্রে দিতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান চলমান পরিবেশ সংক্রান্ত অপরাধসমূহ দমন করা এবং পরিবেশ উন্নয়নে পরিবেশ পুলিশ এক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বে পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা জরুরী। বাংলাদেশের পরিবেশের সমস্যাসমূহ নি¤েœ উল্লেখ করা হলো। দ্রুত শিল্প কারখানা স্থাপন, রাসায়নিক, মেটাল, প্লাস্টিক, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের বর্জ্য ও নিক্ষেপিত ক্ষতিকর পদার্থসমূহ। শিল্প বর্জ্য যা প্রতিনিয়ত পানি ও পানি প্রবাহে নিক্ষেপিত হচ্ছে; সেগুলো পাশর্^বর্তী জলাশয়, মাটি, পলি, বৃক্ষ, লতা-পাতা ও প্রাণীকুলকে কলুষিত করছে। বৃক্ষ নিধন ও পাহাড় কাটা বাংলাদেশের নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। বন্যপ্রাণীকে নির্দয়ভাবে প্রহার, বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যার কারণে ক্রমশ বাংলাদেশ থেকে বন্যপ্রাণী কমছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অসাধু মৎস্য শিকারী কর্তৃক কারেন্টজাল ব্যবহার করে পোনা মাছ ধরা, যেমন জাটকা ধরার কারণে মৎস্য সম্পদ তথা ইলিশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ইটভাটাসমূহে কয়লার পরিবর্তে বৃক্ষ ব্যবহার হচ্ছে। গাড়ির কালো ধোঁয়া নির্গমন। ক্রমাগত মাটি ও পানির দূষণ। ফল-মূল, শাক-সবজি এবং খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। নদী, পুকুর, দীঘি, লেক ও জলাশয়ের পানিসমূহ শিল্প কারখানা ও গৃহস্থালি থেকে নির্গত বর্জ্যসমূহ দ্বারা দূষিত হচ্ছে। গাড়ির হাইড্রলিক হর্ন, সাউন্ড সিস্টেমের উচ্চ শব্দ, ড্রামের হাইবিট শব্দ দূষণের সৃষ্টি করছে ও রেফ্রিজারেটর থেকে বিপুল পরিমাণ ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন নির্গত হচ্ছে, যা গ্রীন হাউস প্রভাবকে আরও ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশের পরিবেশের বিপর্যয় রোধে কোন না কোন প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন। চলমান ব্যবস্থাপনায় আমরা আমাদের নদ-নদী যেমন বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে পারছি না। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে। বন, বন্যপ্রাণী ও পাহাড় পর্বত সংরক্ষণে পরিবেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি ভূ-উপরিস্থিত পানি দূষণ প্রতিরোধে বা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্যরে বেআইনী ব্যবস্থাপনা রোধ করতে পারে। বাতাসের গুণাগুণ যাচাই এবং তার মান রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনে দায়ী প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দিতে পারে। ফল, খাদ্য শস্য ও খাদ্যসমূহের ভেজাল যাচাই ও ভেজাল প্রতিরোধ করতে পারে। এসিড ও অন্যান্য ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ, ব্যবহার, ক্রয় ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারে। শিল্প বর্জ্য ডাম্পিং এবং স্বাদুপানি দূষণের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন সমন্বিত ও ব্যাপক আকারের অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। পরিবেশ পুলিশ এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং শিল্প কারখানায় চলমান বর্জ্য শোধন কার্যক্রমসমূহ ফলপ্রসূ সাফল্য দিচ্ছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। বাংলাদেশ নামক ব-দ্বীপটি আজ নানাভাবে পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশের পরিবেশের অবস্থা বর্ণিত হলো। নদী, পুকুর, খাল-বিল, হাওড়, বাঁওড় ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি যে শুধু পান করার জন্য এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত হয় তা নয়, এ সকল স্বাদুপানি কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এদেশে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট অপরাধসমূহ ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের বড় অভাব। দিন দিন পানি ও বাতাসের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি, মাটি ও পলির গুণাগুণ ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, শিল্প থেকে নির্গত দূষিত পানি স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার এবং ক্ষতিকর কীটনাশক পানিকে দূষিত করছে এবং যা অনেক প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটাচ্ছে এবং তাতেই বৃক্ষ নিধন ও বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটছে। মানুষের কার্যক্রম ও দূষণের ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ দিন দিন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। খাদ্যচক্রে প্রবেশ করছে দূষিত পদার্থ ও দূষক। পরিণামে মানুষ ও জীবকুল বিভিন্ন প্রকারের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খরা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, বন্যা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। সেজন্য পরিবেশ পুলিশ এ দেশের পরিবেশ উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিবেশ পুলিশ আবহাওয়া নিয়েও কাজ করবে। তারা সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সঙ্গে মিলে বা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। পরিবেশ পুলিশ সদস্যরা দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক কাজ করবে। পরিবেশ পুলিশের সদস্যরা পেট্রোল করবে এবং দূষণকারী শিল্প, দূষিত এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা ও দূষিত পয়েন্ট চিহ্নিত করবে। পরিবেশ পুলিশ হেঁটে, নৌকা, হোন্ডা, গাড়ি দ্বারা এবং প্রয়োজনে বিমানের সহায়তায় পেট্রোল করবে এবং একটা সংক্ষিপ্ত জরিপ করবে। পরিবেশ পুলিশ শিল্প, মাঠ, নদী, জলাভূমি, বনভূমি, শহর, নগর, উপত্যকা, পাহাড়, পর্বত তথা দূষিত এলাকাকে কেন্দ্র করে পেট্রোল করতে পারবে। যদি পরিবেশ পুলিশের সদস্যরা পরিবেশের কোন উপাদানের (ঈড়সঢ়ড়হবহঃ) কোন পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক ঐতিহের দূষণ সম্পর্কিত কোন তথ্য পায় বা নিজেরা দেখতে পায়, সেক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান করতে পারবে। পরিবেশ পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করবে পেট্রোল করে, বই, পত্রিকা, লিফলেট, টেলিভিশন, ফেসবুক, ই-মেইল, সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে। পরিবেশ পুলিশের সদস্যরা সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও স্পটের পরিবেশের বিশুদ্ধতা উন্নয়নে কাজ করতে পারে। যে সব হোটেল, বেকারি ও রেস্টুরেন্ট অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খাবারের আদর্শ মান বজায় রাখে না, পরিবেশ পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করবে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে। পরিবেশ পুলিশের সদস্যরা মৎস্য, খাদ্য শস্যে ভেজাল, সবজি, ফলে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে এবং শাস্তি প্রদান করতে পারবে। নদী, পুকুর, জলাভূমি কোন্ কোন্ উৎস থেকে কিভাবে দূষিত হচ্ছে তা খুঁজে বের করবে। সংশ্লিষ্ট স্থানের মাটি, পানি, বাতাস ও গাছ পালার পরীক্ষা করবে। এছাড়াও তাদের রং, গন্ধসহ রাসায়নিক পরীক্ষা করবে। দূষণের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করতে পারবে। নদী দখলকারী ও বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ পুলিশ অভিযান করতে পারে। এরা অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্যাদি যেমন, কীটনাশক, এসিডের মজুদ, ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহারকারীদের গ্রেফতার করবে এবং বন্ধ করে দিতে পারে। শিল্প কারখানা থেকে নির্গত পানি, বর্জ্য ও শিল্পজাত ডাম্পিং দ্রব্যাদি যা অনুমোদিত মাত্রা (চবৎসরংংরনষব ষরসরঃ) অতিক্রম করে কিনা তা পরীক্ষা করবে এবং আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারবে। নিষিদ্ধ বা মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক যা কৃষি কাজে বা কৃষি জমিতে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে পরিবেশ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে পরিবেশ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। পরিবেশ পুলিশ গাড়ির হাইড্রলিক হর্ন, রাস্তার পাশের্^র হোটেল, দোকান ও সাউন্ড সিস্টেমের দ্বারা শব্দ দূষণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করবে এবং বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। কাঠ পাচারকারী, বন নিধনকারী, পাহাড় কাটা, নদী ও জলাশয় ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। যদি কোন শিল্প কারখানা পরিবেশ সম্পর্কিত নীতিমালা না মানে, তাহলে পরিবেশ পুলিশ সে সমস্ত শিল্পের মালিককে শাস্তি দিতে পারবে এবং প্রয়োজনে সিলগালা করে বন্ধ করে দিতে পারবে। পরিবেশ পুলিশ সদস্যরা, দূষণ সম্পর্কিত কোন সংবাদ প্রাপ্ত হলে, তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করবে এবং পরিপূর্ণ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে। তারা পরিবেশের আইন অমান্যকারী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনানুগ ব্যবস্থার অধীনে আনয়ন করতে পারবে এবং পরিবেশ পুলিশ জনগণকে পরিবেশ দূষণের ক্ষতি বা খারাপ প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করতে পারে। শুধুমাত্র শাস্তি প্রদান করে এরূপ জটিল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য শাস্তির পাশাপাশি সচেতনতামূলক কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। বনায়ন কার্যক্রমকে বৃদ্ধি করতে হবে এবং বন উজাড় বন্ধ করতে হবে। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী ব্যাপকভাবে শুরু করতে হবে। শিল্প মালিক ও শিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ব্রিফ করতে হবে যেন, দূষণ অনুমোদিত মাত্রা (চবৎসরংংরনষব ষরসরঃ) অতিক্রম না করে। পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া (ওহঃবৎধপঃরড়হ) উপদেশ ও প্রেষণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে। রেডিও, টিভি ও প্রেস মিডিয়ার মাধ্যমে পলিথিন, প্লাস্টিক, বর্জ্য ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিন বা জায়গায় ফেলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাহাড় কর্তন এবং বন্যপ্রাণী নিধন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে এ বিষয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে। অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন, জুম চাষ ও অপরিকল্পিত চাষাবাদ করার ফলে পাহাড় চূড়ার মৃত্তিকা (ঞড়ঢ় ংড়রষ) ধ্বংস হচ্ছে এবং প্লাস্টিক, শিল্পবর্জ্য, দূষক (চড়ষষঁঃধহঃ) শিল্প নির্গত পানি বা তরলের পুনঃব্যবহার করতে হবে। ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাদুপানি, ভূ-গর্ভস্থ পানি, পলি, মাটি, বাতাস ও শব্দের গুণগতমান শহর ও নগরগুলোতে আদর্শ বা অনুমোদিত মাত্রা অতিক্রম করেছে। স্বাদুপানির গুণাগুণ যাচাই বা মূল্যায়ন করে স্বাদুপানির ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করতে হবে। শিল্প কারখানাসমূহ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্থানান্তর করতে হবে। এ ছাড়া কারখানার টাইপ বা প্রকারভেদে অঞ্চল বিভাগ (তড়হরহম) করতে হবে। শিল্প বর্জ্য এবং শিল্প নির্গত পানি নিয়মমাফিকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং সঠিকভাবে পুনঃব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেক শিল্পের শিল্প বর্জ্য, নির্গত তরল ও পানি পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় শোধন করতে হবে। প্রত্যকে শিল্পের জন্য একটি দূষক আটকানো গাছ বা দূষক সহ্যকারী গাছ দ্বারা সবুজ বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। শিল্পগুলো নিজস্ব একটি ডাম্পিং পুকুর খনন করবে এবং সেখানে শিল্প বর্জ্য ও শিল্প নির্গত পানি সেখানে ডাম্প করতে হবে। এর পর দূষক আটকানো গাছ বা দূষক সহ্যকারী গাছ এর ভিতর দিয়ে সবগুলো প্রবাহিত করতে হবে। শিল্পের কার্যক্রম কে অবশ্যই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং একত্রে কাজ করতে হবে। পরিবেশের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে ও সূচারুভাবে নির্ণয় করতে হবে। পরিবেশ পুলিশ গঠন করে বাংলাদেশের পরিবেশের দূষণ তথা প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। লেখক : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
×