ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৬ মে ২০১৭

উবাচ

‘ধর-ধর’ স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতি মানেই কর্মী আর জনমতের বিষয়। বাস্তবতা হলো এর কোনটিই নেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরামের। তাতে কি! নেতা হিসেবে তো কোন কিছু বলতে বাধা নেই। এটা সত্যি। কিন্তু সামাজিক কোন কাজ করতে গেলে কর্মী থাকার অপেক্ষা রাখে না। তবুও হয়ত অনেকটা ঝুঁকিই নিতে যাচ্ছেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরামের এই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকেই মাঠে নামছি। দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনে দেশের প্রতিটি থানায় যাব, যা যা করণীয়, তা করব। যারা চোর, তাদের সাহস কম থাকে। তাদের কোন কিছুতেই জোর থাকে না। এ কারণে ধর ধর বললেই চোর-দুর্নীতিবাজরা পালাবে।’ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চাই, বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেও তাদের মানসিক শক্তি থাকে না। তবে এসব চোর ও দুর্নীতিবাজ ধরতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ, সহযোগিতা ও একতা প্রয়োজন।’ দেশের মানুষ অনেক সচেতন উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণ যদি একবার জেগে যায়, তাহলে তাদের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। জনগণ খুবই সচেতন, তারা দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করবে না।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক এই কাজটি করার ঘোষণা দেয়ার পর তিন দিন কেটেছে। এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি সাবেক এই আইনমন্ত্রী কামাল হোসেন। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কোন খবর নেই। কবে নামবেন? সেই দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে কিনা তাও বলতে পারেননি দলটির নেতারা। তবুও অনেকের প্রত্যাশা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি। বিদ্যুত গেল কই? স্টাফ রিপোর্টার ॥ খরতাপে পুড়ছে দেশ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হঠাৎ লোডশেডিংও। রাজধানী শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুত না থাকার ভোগান্তি চলছে। এ কারণে সপ্তাহের শুরুতেই দুঃখ প্রকাশও করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী। আশ্বাসও দিয়েছেন পরিস্থিতি উন্নতি করার। তাতে কি হয় বলুন। রাজনীতি মানেই ইস্যু তৈরি। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। তাই হলো। কয়েকদিনের বিদ্যুত বিভ্রাটের ঘটনাকে পুরো রাজনৈতিককরণ করা হয়েছে। চলছে প্রতিপক্ষের ঢিল ছোড়া পর্বও। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়ানো হলেও দেশজুড়ে দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং কেন হচ্ছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘কোন হিসাব মেলানো যায় না। এই যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ কইরা বিদ্যুত উৎপাদন করা হলো শুনলাম, ভাসায়ে দেয়া হয়েছে বিদ্যুতে। এই যে বিদ্যুত নাই এখন, তাহলে হিসাবটা বুঝতেছি না। বিদ্যুতের ইস্যু সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে জনমত আদায়ে অনেক কিছুর সঙ্গে তুলনা করেছেন এই নেতা। বলেন, ‘সেই নাসিরউদ্দিন হোজ্জার বিড়াল আর মাংসের গল্পের মতো আর কি। বিড়ালের ওজন যদি একসের হয় তাহলে মাংস কই গেল? আর এটা যদি মাংসের ওজন হয়, তাহলে বিড়াল গেল কোথায়? তাহলে আমাদের এই হাজার হাজার কোটি টাকা কই গেল? বিদ্যুতও তো পাচ্ছে না জনগণ।’ দেশে বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক ছোঁয়ায় গত ৮ ডিসেম্বর হাতিরঝিলে রঙিন বাতি জ্বালিয়ে আলোর উৎসব করা হয়। বুধবার সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৮ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ উপাদনের আভাস দিয়েছিল পিডিবি। সে হিসাবে ঘাটতি এক হাজার ৫২ মেগাওয়াট, আর লোডশেডিংয়ের আভাস রয়েছে ৯৭৯ মেগাওয়াটের। তবে বিএনপির আমলে মানুষ বিদ্যুত পেত না। এ সময়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ বিদ্যুত উৎপাদন হতো। বিদ্যুতের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় গণআন্দোলন হয়েছিল। সেই দিনগুলো হয়ত দলটির নেতারা ভুলে গেছেন। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিদ্যুত ইস্যুতে আয়নার বিএনপি নেতাদের নিজ নিজ চেহারা দেখার পরামর্শ দিলেন। ঝড়ের পূর্বাভাস! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সমুদ্রে লঘুচাপ নেই। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে গরম চলবে আরও কয়েকদিন। এরপর বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। হাওয়া বিজ্ঞানীরা যখন ঝড়ের কোন আভাস দিতে পারছেন না, তখন রাজনীতির মাঠে ঝড়ের পূর্বাভাসের কথা ছড়াচ্ছে! একেবারে ক্ষমতাসীন দলে এই অবস্থা। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের অনুপ্রেবেশকারীরা সাবধান! যাকে বলে বিপদ সংকেত। ঝড়ের চূড়ান্ত পূর্বাভাস। তাই বিপদে সতর্ক থাকা মানেই নিজেকে নিরাপদ রাখা। কারণ খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক বিপদ সংকেত দেখিয়েছেন। তাই কিছু না কিছু তো হবেই। সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগে যুক্ত হবার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে বিতর্ক হলেও সত্যিকারের অনুপ্রবেশকারীরা বাদ যাবে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না। যদিও দেশের কোন রাজনৈতিক দলে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা রয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের সদস্যদের তালিকাও যথাযথ সংরক্ষণ করা হয় কিনা এ প্রশ্নও আছে। তাহলে অনুপ্রবেশকারীদের কিভাবে চিহ্নিত করা হবে এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সদস্য নবায়নের জন্য জেলার নেতাদের হাতে সদস্য ফর্ম তুলে দেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্যও বিপদ সংকেতের বার্তা দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিমধ্যে দলের ভেতরে (আওয়ামী লীগে) বিভিন্ন দল থেকে যাদের অনুপ্রবেশ হয়েছে তাদের সদস্য পদ নবায়ন করা হবে না। সদস্য সংগ্রহ নবায়ন অভিযান যেন বিতর্কিত না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলে যেন পরগাছা প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সদস্যপদ চূড়ান্ত করার আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে।’
×