ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মিথ্যা মামলার ঘানি টানছেন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২২ মে ২০১৭

মিথ্যা মামলার ঘানি টানছেন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২১ মে ॥ সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধকে একটি গুম মামলায় আসামি করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মামলায় ওই বৃদ্ধ ছাড়াও তার ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘুচরাকাঠি গ্রামের প্রতিপক্ষ আবুল মুসলমানের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ আবদুল খালেক গাজীর বিরোধ চলে আসছিল। খালেক গাজী অভিযোগ করেন, তাকেসহ পরিবারের লোকজনকে শায়েস্তা করতে প্রতিপক্ষ আবুল মুসলমান ৮ মার্চ ২০১৫ সালে ফরিদ উদ্দিন নামের ১২ বছরের তার এক ছেলেকে লুকিয়ে রেখে তাকেসহ তার ছেলে হারুন গাছী, ছেলের স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও নাতি জুয়েল গাজীকে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি গুম মামলা দায়ের করে। এ মামলায় তার ছেলে হারুন গাজী প্রায় দুই মাস কারাগারে ছিলেন। এরপর দুই বছর ৩ মাস পর অর্থাৎ চলতি বছর ২৮ মার্চ আকস্মিকভাবে আবুল মুসলমানের গুম হওয়া ছেলে ফরিদ বাড়িতে ফিরে আসে। বর্তমানে তার ছেলে ঘুচরাকাঠি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে কোর্ট পুলিশকে গুম হওয়া শিশু ফরিদকে আদালতে হাজিরা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে হাজির করা হচ্ছে না। খালেক গাজী আরও অভিযোগ করেন, এই মিথ্যা গুম মামলাটি বাউফল থানার এসআই নাসির উদ্দিন ২০১৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। কিন্তু বাদীর আপত্তির কারণে মামলাটি চলমান রয়েছে।
×