ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনা সভায় বক্তারা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে কোন দেশের তুলনায় বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ মে ২০১৭

 বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে কোন দেশের তুলনায় বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় এসে এ সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটায়; যা দুই দেশের জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ের কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দু’দেশের স্বার্থেই শক্তিশালী ও হৃদ্যপূর্ণ থাকা খুবই জরুরী। শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এসএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়েকুজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক আতিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মোঃ কাফি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মিজান উদ্দিন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জিন্নাত ইমতিয়াজ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের অবদান বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এ সম্পর্ক আত্মিক সম্পর্ক, যা ভুলবার নয়। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে হলে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে দুই দেশকে এগিয়ে আসতে হবে এবং অমীমাংসিত সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধানের পথ বের করতে হবে। ড. মোঃ কাফি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই দর্শন ও রাজনৈতিক আদর্শ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতিতে সংযোজন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ নীতিতে তিনি পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক আতিকুর রহমান বলেন, দখল বা আগ্রাসনের নীতি এখন কোন দেশই পছন্দ করে না। তাই ভারত স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এ সম্পর্ক মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই সূত্রপাত হয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের যোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক উচ্চমাত্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
×