ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে জমির ক্ষতিপূরণ দাবি

বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৮ মে ২০১৭

বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উপকূলীয় পেকুয়ার করিয়ারদিয়ায় প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জমির মালিকরা। তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে একর প্রতি ক্ষতিপূরণের অর্থ অন্তত ৫০ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছে। জমি মালিকরা রবিবার বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এখানে বিদ্যুত কেন্দ্র হোক আমরা চাই। তবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতি একর জমির মূল্য অন্তত ৫০ লাখ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথভাবে পুনর্বাসন করে তা করা উচিত। অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা জানান, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) নামের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সরকার করিয়ারদিয়া মৌজার ১২শ’ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত নোটিসও জমির মালিকদের দেয়া হয়। কিন্তু অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে জমির মালিকরা প্রকৃত মূল্য দূরে থাক, তার কিয়দংশও পাবে না। তারা জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জোর দেনদরবার করে আসছে। বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তার পুরোটাই লবণ মাঠ। এখানে পাঁচ শতাধিক বসতবাড়িও রয়েছে। প্রতি একর জমিতে বার্ষিক সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি ৭৫০ মণ লবণ উৎপাদন হয়। চিংড়ি চাষাবাদও হয়। একর প্রতি জমি থেকে প্রতিবছর খরচ বাদে ১০ লক্ষাধিক টাকা আয় হয়ে থাকে। ওই জমির ওপর ১৪ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আইনজীবী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ চৌধুরী, হোসাইন আহমদ, হেমায়েত হোসেন, কফিলউদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, অধ্যাপিকা শিরীন নূর, জামিল ইব্রাহিম, সিরাজুল মোস্তফা মেম্বার ও নুর হোসাইন মেম্বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×