ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ২০ কোটি টাকার ভূমি দখলে নিতে মরিয়া একটি চক্র

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৬ মে ২০১৭

চট্টগ্রামে ২০ কোটি টাকার  ভূমি দখলে নিতে মরিয়া একটি চক্র

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় থাকা প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪৬ শতক জায়গাসহ ৫৫নং বাড়ি অবৈধ দখল নিতে মরিয়া একটি চক্র। অবৈধ দখলে নেয়ার চেষ্টায় থাকা প্রতারক চক্রের হোতা চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য। শুক্রবার সকালেও এ চক্র নানাভাবে এ ভূমির বিশাল একটি অংশ দখলে নিতে ফন্দিফিকির করেছে। উল্লেখ্য, গত ১ মে এমন ঘটনায় পুলিশ গণপূর্তের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে গেলেও কয়েক ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে আবাসিক এলাকায় থাকা গণপূর্তের এ জায়গায় থাকা ওই বাড়িটিতে মহানগর ভূমি অফিসের অধীনে থাকা কাট্টলী ভূমি অফিস স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। ত্রিমুখী জটিলতায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে আবাসিক এলাকায় কোন ধরনের অফিস কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খোদ মহানগর ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, গণপূর্তের সাবেক কর্মচারী আব্দুল বায়েছ ভূমি অফিসের অসাধুদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারী এ ভূমির প্রায় দেড়গ-া জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে বিদ্যুত সংযোগ স্থাপন করলেও গণপূর্ত অধিদফতর ও বিদ্যুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোন বাধা প্রয়োগ করেনি। অপরদিকে ৪৬ শতক ভূমির প্রায় ১৬ শতক পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান সাইদুজ্জামান গংয়ের অবৈধ দখলে রয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে। ৫৫নং ভবনের আরেকটি অংশের খালি জায়গা অবৈধভাবে দখলে নেয়ার জন্য চক্রের হোতা ও চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ইকবালসহ সহযোগীরা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আকবর শাহ থানার ওসি তদন্তের সামনে ইকবাল এ জায়গা দখলে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। কিন্তু উচ্চ আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিট পিটিশন দাখিল করার মতো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। আকবরশাহ থানার ওসি তদন্ত তার টেবিলে ইকবালের পক্ষে উচ্চ আদালতের একটি রিট পিটিশন রয়েছে বলে জনকণ্ঠ প্রতিবেদককে জানান। গত সোমবার সকালে সরকারী বন্ধের দিনে ইকবালের নেতৃত্বে একটি চক্র নির্মাণসামগ্রী জড়ো করার ঘটনায় সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমন পরিস্থিতিতে আকবর শাহ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশের চাকরিচ্যুত সদস্য মোঃ ইকবাল উচ্চ আদালতে রিট মামলা রয়েছে এমন দোহাই দিয়ে পুলিশকে হটানোর চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে আকবর শাহ থানা-পুলিশের ওসি (তদন্ত), সেকেন্ড অফিসার, কয়েক এসআই ও কনস্টেবল মিলে প্রায় ২০ সদস্যের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান শুরু করে। পুলিশ চক্রান্তকারীদের নিয়ে আসা নির্মাণসামগ্রী, টিনের বেড়াসহ বেশকিছু সরঞ্জামাদি জব্দ করে।
×