ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাসদের সেমিনারে নাসিমের বক্তৃতা

বিএনপি অংশ না নিলেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২০ এপ্রিল ২০১৭

বিএনপি অংশ না নিলেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও বর্তমান সংবিধানের আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ জাতীয় নির্বাচন। এখন যে যত সেøাগান দিক না কেন কোন কাজ হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানের ব্যাপারে কোন আপোস হবে না। সংবিধানের বাইরে বিন্দুমাত্র আপোস করার কোন সুযোগ নেই। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাসদ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। আর সেই নির্বাচনে জনগণের মন জয় করেই ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কে নির্বাচনে আসল, কে আসল নাÑএ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন চিন্তাভাবনা নেই। কারণ, নির্বাচনে অংশ নেয়া, না নেয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না। জনগণ গতবার যেভাবে ভোট দিয়েছিল, এবারও সেভাবে ভোট দেবে। কাউকে তোষামোদ করার দরকার নেই। তবে গতবারের মতো এবারও যদি সেই দল (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে দলটি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। আর কেউ যদি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এবারের নির্বাচন ভ-ুল করতে চায় তাহলে আবার সে ব্যর্থ হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই ক্ষমতা আসতে হবে। জনগণও এটা চায়। নইলে দেশের চলমান উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে, জনগণ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন অন্য যে কোন জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে আলাদা। এই নির্বাচনে জয়ের কোন বিকল্প নেই। এ জন্য অপশক্তির অপতৎপরতা আরও কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সভাপতির বক্তৃতায় জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এ দেশের রাজনীতিতে তাদের কোন স্থান নেই। রাজনীতির মাঠে কেবল মুক্তিযোদ্ধারাই থাকবে, কোন রাজাকার সমর্থিত শক্তি থাকবে না। জঙ্গী দমনের যুদ্ধ চলছে এবং এ যুদ্ধটা আমরা এখনও সম্পন্ন করতে পারিনি। যুদ্ধটা আমরা আগেই শেষ করতে পারতাম যদি জঙ্গীর দোসর বিএনপি-জামায়াত চক্র এবং খালেদা জিয়া জঙ্গীদের প্রকাশ্যে সমর্থন না দিতেন। তিনি বলেন, জঙ্গী দমনে আমরা বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছি, জঙ্গীর তা-ব দেখেছি, আগুনসন্ত্রাস দেখেছি, ৯২ দিনের আগুন যুদ্ধ দেখেছি এবং এসব কিছুকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গী দমন যুদ্ধ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ এবং জনগণের ওপর আস্থা স্থাপন। মূলত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলতে চাই, কাউয়া ও ফার্মের মুরগিরা দেশটাকে চেটেপুটে খাচ্ছে। এটা বন্ধ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’ সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×