ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিধি-নিষেধ দিয়ে গণজাগরণ ঠেকানো যায় না ॥ সিপিবি

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

বিধি-নিষেধ দিয়ে গণজাগরণ ঠেকানো যায় না ॥ সিপিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসব নিয়ন্ত্রণের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, বর্ষবরণের মতো চিরায়ত, প্রাণের অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকার কার্যত আমাদের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে উস্কানি দিচ্ছে। বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার জনগণকে ঘরে বন্দী করে রাখার আয়োজন করছে। জনগণের ওপর নির্ভর না করে সরকার এখন পুলিশের ওপর নির্ভর করছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি-সময়সূচী নির্দিষ্ট করে দেয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা। কোন বিধি-নিষেধ জারি করে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক জাগরণকে ঠেকানো যায় না। সম্মিলিত শক্তিতেই জনগণ সকল প্রতিক্রিয়াশীল অপতৎপরতা মোকাবেলা করবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মুখে বললেও সরকার হেফাজতে ইসলামসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করছে। সাধ্যমতো তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সরকার দলীয় সংগঠন বলে দাবিদার আওয়ামী ওলামা লীগ মাঠে নেমেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে প্রতিক্রিয়াশীল এই চক্র জনগণের বিরুদ্ধে নানা ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলদের পক্ষে সরকারের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ সরকারের সংস্কৃতিবিরোধী, ঐতিহ্যবিরোধী, প্রগতিবিরোধী সকল অপতৎপরতা ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তায় থাকবেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পহেলা বৈশাখ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর অবস্থা প্রতিরোধে এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান রনি প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে আবিদ আল হাসান বলেন, সকলের মঙ্গল কামনায় নববর্ষ বাঙালীর আবহমানকালের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে পালন করে। তাই এই দিনটি আনন্দ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নির্বিঘেœ পালন করতে ঢাবি ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর।
×